বড় পরাজয়ের শঙ্কা নিয়ে পঞ্চম দিনের লড়াইয়ে বাংলাদেশ
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনেই হারের মুখে ছিল বাংলাদেশ। পাহাড়সম লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে মনে হয়, চতুর্থ দিনের শেষ সেশনেই পরাজয় দেখবে বাংলাদেশ।
তবে জাকের আলি সেটা হতে দেননি। দিনের শেষ ভাগে উইকেট আগলে রেখে ম্যাচকে শেষ দিনের লড়াইয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। ৭ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে আজ মঙ্গলবার দিনের খেলা শুরু করেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে আরও ২২৫ রান। হাতে আছে তিন উইকেট। এই তিন উইকেট নিয়ে এই পাহাড়সম টার্গেট পাড়ি দেওয়া যে সম্ভব নয় সেটা বোঝা যায় স্পষ্ট। কিন্তু হারের ব্যবধান জাকেররা কতটা কমাতে পারেন সেটাই দেখার পালা।
গতকাল সোমবার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় ইনিংসে অল্পতেই আটকে দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তাতেও খুব একটা সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। কারণ আগের ইনিংসের লিডসহ স্বাগতিকদের পুঁজি দাঁড়ায় ৩৩৩ রানে! যে রান তাড়ায় তাশের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার।
৩৩৪ রানের লক্ষ্য পাড়ি দেওয়া চতুর্থ ইনিংসে এই রান তোলা চ্যালেঞ্জিং। বাংলাদেশের জন্য তো আরও বড় পাহাড়াসম। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে প্রথম ওভারেই ফিরলেন জাকির হাসান। কেমার রোচের অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে শূন্যতে বিদায় নেন বাঁহাতি ওপেনার।
একটু পর ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটলেন মাহমুদুল হাসান জয়। জেডেন সিলসের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন জয় (৬)।
এরপর একে একে প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দেন শাহাদাত হোসেন দিপু ও মুমিনুল হক। আগের ইনিংসে ফিফটি করা মুমিনুল ফেরেন ১১ রানে। আর রোচের ফাঁদে পড়ে শাহাদাত বিদায় নেন ৪ রানে।
মাত্র ২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে ভীষণ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টায় জুটি বাধেন লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজন মিলে আগেও দলকে পথ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। লিটনকে বিদায় করে সেই চেষ্টা ভেস্তে দেন জোসেফ। ২২ রানে লিটন ফিরলে ভাঙে ৩৬ রানের জুটি। বাকি সময় মিরাজ-জাকেররা মিলে চেষ্টা করে খেলা পঞ্চম দিনে নেন।
এর আগে অ্যান্টিগায় টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে জাস্টিন গ্রিভসের সেঞ্চুরিতে ৪৫০ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেঞ্চুরিয়ান গ্রিভস করেন ১১৫ রান।
বিপরীতে প্রথম ইনিংসে নেমে ২৬৯ রানে থামে বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল ও তাসকিনের ব্যাট করার সুযোগ থাকলেও সেটা না করে ২৬৯ রানেই ইনিংস ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ। ফলে আগের ইনিংসের ১৮১ রানের লিড সহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুঁজি দাড় করায় ৩৩৪ রানের। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১৫২ রান।
বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র বলার মতো পারফর্ম করেছেন তাসকিন আহমেদ। ৬৪ রান দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তাসকিন নিয়েছেন ছয় উইকেট। যা তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। মোট দুই ইনিংস মিলিয়ে ডানহাতি পেসারের সংগ্রহ আট উইকেট।