হেলসের সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল সিলেট
জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু সেই পুঁজিও যথেষ্ট হলো না। অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরির সামনে দাঁড়াতেই পারল না স্বাগতিকরা। হেলস ও সাইফ হাসানের ঝড়ে সিলেটকে উড়িয়ে জয়ের ছন্দে ধরে রাখল নুরুল হাসান সোহানের রংপুর রাইডার্স।
বিপিএলের নবম ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে রংপুর। এই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুদ করল রংপুর। অন্যদিকে টানা দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে টেবিলের তলানিতে অবস্থান স্বাগতিক সিলেটের।
নিজেদের শহরে জয়ের খাতা খুলতে চেয়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুর তিক্ততা ভুলে সেই লক্ষ্যে মাঠে নেমে ব্যাটিংয়ে শক্ত পুঁজি গড়ে আরিফুল হকের দল। আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) ম্যাচটিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৪ রান সংগ্রহ করেছে সিলেট। জবাব দিতে নেমে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে রংপুর রাইডার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাইডার্সরা। কিন্তু আগে বোলিং করার সুবিধা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি রংপুর। সিলেটের দুই ওপেনার জর্জ ও রনি তালুকদার মিলে শুরুর জুটিতে তোলেন ৪৭ রান। ১৮ রান করে জর্জ ফিরলেও রনি তালুকদার তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ৩২ বলে ৫৪ রান করে রনি থামলে জাকিরও তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি।
দুজনের জোড়া হাফসেঞ্চুরির পর শেষটা দারুণ করেন জাকের আলি ও অ্যারন জোন্স। দুজনেই খেলেন আগ্রাসী ভঙ্গিতে। শেষদিকে জোনসের ১৯ বলে ৩৮ রানের ঝড় ও মাত্র ৫ বলে ৪০০ স্ট্রাইক রেটে জাকেরের ২০ রানের তাণ্ডবে দুইশ ছাড়ানো পুঁজি পায় সিলেট।
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। দলীয় ২ রানেই হারায় ওপেনার আজিজুল হাকিমকে। কিন্তু শুরুর ধাক্কা সামলে পরের জুটিতে তারা পায় ১৮৬ রান। অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসান মিলে গড়েন এই জুটি। যেটি বিপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় উইকেটে চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি। আর এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ।
এই জুটিতেই জয়ের গল্প লিখে ফেলে রংপুর। ম্যাচ জয়ের পথে ৫৬ বল ১১৩ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দেন হেলস। যা সাজানো ছিল ১০ চার আর সাতটি ছক্কায়। অন্যদিকে ৪৯ বলে ৮০ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস উপহার দেন সাইফ হাসান। তার ইনিংসেও ছিল সাতটি ছক্কা, সঙ্গে ছিল তিনটি চার।