আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে বড় জয় বেঙ্গালুরুর

আইপিএলের ১৮তম আসরও কি হবে রানবন্যার? উদ্বোধনী ম্যাচের পর এমনটাই বলছেন সমর্থকদের অনেকেই। কলকাতার ছুঁড়ে দেওয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্য অনায়াসে টপকে গেল কখনও শিরোপা জিততে না পারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
আজ শনিবার (২২ মার্চ) কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রান তোলে কলকাতা। জবাবে, ১৬.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় আরসিবি। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৯ রান আসে অভিজ্ঞ ব্যাটার বিরাট কোহলির ব্যাট থেকে।
১৭৫ রান তাড়ায় নেমে ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ হয় আরসিবির। দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও বিরাট কোহলি মিলে গড়েন ৯৫ রানের জুটি। ৩১ বলে ৫৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সল্ট। ইংলিশ এই ব্যাটার বিদায় নিলেও দেবদূত পাডিকেলকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন কোহলি।
যদিও পাডিকেলের বিদায়ে এই জুটি বড় হয়নি। দলীয় ১১৮ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন পাডিকেল। ১০ বলে ১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরবর্তীতে অধিনায়ক রজত পাতিদার আসেন ক্রিজে। কোহলির সঙ্গে তার ৪৪ রানের জুটিতে জয়ের আরও কাছে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। ১৬ বলে ৩৬ রান আসে অধিনায়ক পাতিদারের ব্যাট থেকে। পরের লিভিংস্টোনকে সঙ্গী করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাউন্ডারিতে ইনিংস শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ওপেনার কুইন্টন ডি কক। প্রথমে ক্যাচ মিস হলেও হ্যাজলউডের পরের বলে উইকেটরক্ষক জিতেশ শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ইনিংসের শুরুতেই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে কলকাতা।
তবে সেই চাপ সামাল দেন ওপেনার সুনীল নারিন ও অধিনায়ক রাহানে। শুরুতে সাবধানী ব্যাটিং করলেও পরবর্তীতে দুজনেই হাত খুলে খেলেন। পাওয়ার প্লে শেষে স্কোর দাঁড়ায় ৬০/১। নবম ওভারে সুয়েশ শর্মার এক ওভারেই তুলে নেন ২২ রান। সেই ওভারেই ছক্কা মেরে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন রাহানে। মাত্র ৯.৩ ওভারেই দলীয় স্কোর পৌঁছে যায় ১০০ রানে।
তবে দশম ওভারে ম্যাচে ফেরে বেঙ্গালুরু। ৪৪ রান করা সুনীল নারিনকে ফেরান রাসিখ সালাম। পরের ওভারে রাহানেকেও সাজঘরে ফেরান ক্রুণাল পাণ্ডে। রাহানে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন, যেখানে ছিল ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। দ্রুত দুই সেট ব্যাটার ফিরে যাওয়ায় আবার চাপে পড়ে কলকাতা। শেষমেশ ১৭৪ রানে থামে দলটি।