গ্রামীণফোনকে সেবার মান নিশ্চিত করার নির্দেশ মন্ত্রীর
গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে মোবাইল সেবার মান নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোনকে নির্দেশ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
টেলিনর এর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব এশিয়া জর্গেন সি আরেন্টজ রজট্রাপ এর নেতৃত্বে গ্রামীণফোনের একটি প্রতিনিধিদল ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সাথে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাতকালে মন্ত্রী গ্রামীণফোনের সেবার মান নিশ্চিত করার এই নির্দেশ দেন।
সাক্ষাতকালে তারা মোবাইল সেবার মানোন্নয়ন ও ফাইভজি প্রযুক্তি সেবা চালু, দেশে স্মার্টফোন গ্রাহক শতভাগে উন্নীত করার কৌশল ও ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তা এবং মোবাইল ইন্টারনেট সম্প্রসারণ বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তাদের মোবাইলফোন সেবা অব্যাহত রাখবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সেবার মান যত বাড়বে কলড্রপ ভর্তুকি তত কমে আসবে। গুগল কিংবা মাইক্রোসফট আজ জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের কারণে। উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া ডিজিটাল যুগে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কারও পক্ষে সহজ হবে না।
তিনি বলেন, একসময় মানুষ ভয়েজ কলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ধারাবাহিকতায় এখন তারা শুধু ইন্টারনেটই নয়, উচ্চগতির ইন্টারনেট চায়। আপনারা আপনাদের গ্রাহককে চিনেন, তাদের কী দাবি তাও আপনারা জানেন। জনগণ যথাযথ সেবা চায়। মোবাইল সেবার মান নিশ্চিত করতে অবকাঠামো উন্নয়নে সম্ভাব্য সব কিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ইতোমধ্যে আমরা চাহিদার মানদণ্ড বিবেচনায় রেখে প্রয়োজনমতো স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোবাইল অপারেটরসমূহ সহসাই গ্রাহকদের কাঙ্খিত মোবাইল সেবা প্রদানে সক্ষম হবে বলে আশা করছি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্মার্টফোন ব্যবহারের হার শতভাগে উন্নীত করতে গ্রামীণফোনকে ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাধারণ গ্রাহকগণ যাতে কিস্তিতে স্মার্টফোন কিনতে পারেন, গ্রামীণফোন এ ধরনের উদ্যোগ নিলে তা হবে খুবই প্রশংসিত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। কোভিডকালে দেশে জীবনযাত্রা সচল রাখতে মোবাইল অপারেটর সমূহের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, মানুষের কাছে ইন্টারনেট এখন অত্যাবশ্যক একটি বিষয়। কোভিডের আগে দেশে এক হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউদথ ব্যবহৃত হতো, কোভিডকালে তা বেড়ে ৩৮৪০ জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রী কোভিডকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর দোড়গোরায় ফোর-জি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে তার নির্দেশ দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নে গ্রামীণফোনের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
জর্গেন সি আরেন্টজ রজট্রাপ তরুণজনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন, স্মার্টফোন প্রসার, ডাটা সিকিউরিটি, ডাটা প্রাইভেসি এবং আগামী এক বছরের মধ্যে গ্রামীণফোনের সক্ষমতা দ্বিগুণে উন্নীত করতে তাদের পরিকল্পনার বিষয়টি মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তিনি মন্ত্রীকে গ্রাহক সেবার মান সমুন্নত করার প্রতিশ্রুতিও প্রদান করেন। একই সাথে তিনি ২০২১ ও ২০২২ সালের স্পেকট্রাম নিলামের প্রশংসা করেন।
প্রতিনিধিদলে অপর সদস্য হলেন, টেলিনরের হেড অব এক্সটারনেল রিলেশন মনিষা দগরা, হেড অব ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট ওলি জর্ন জুলস্টাড এবং গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান।