বির্তকিত কনটেন্ট অপসারণে গুগলের প্রতি টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর আহ্বান
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, ডাটা নিরাপত্তা প্রদান, বাংলা ভাষার অধিকতর উৎকর্ষতার প্রতি গুরুত্বারোপ ও ইংরেজির মতো বাংলায় মেইলিং অ্যাড্রেস প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি অপপ্রচারসহ বির্তকিত কনটেন্ট অপসারণে কার্যকর উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
গুগল এশিয়া প্যাসিফিক লিমিটেডের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের গভর্নমেন্ট এফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি ম্যানেজার ক্যামিলি গার্ডনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সচিবালয়ের দপ্তরে এ বৈঠক হয়। এসময় তারা গুগলের নিরাপদ ব্যবহার, ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, বাংলা ডিজিটাল কনটেন্ট উন্নয়নসহ গুগলকে আরও জনবান্ধব করার বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
ডাক ও টেলিযোগাগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ গুগলকে নানা তথ্য উপাত্তের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল সংযুক্তি সম্প্রসারণের ফলে গুগলসহ ডিজিটাল প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জন্যর গুগলকে বাংলা ভাষায় অধিকতর তথ্য উপাত্ত, স্পিচ টু টেক্সট, টেক্সট টু স্পিচ সেবা, মেইলিং সেবা, বাংলায় প্রচলিত অনুবাদসহ বাংলা ভাষার অধিকতর শুদ্ধতার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। এতে গুগল আরও লাভবান হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে টেক্সট বইগুলোর ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে প্রশিক্ষণে গুগলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ডিজিটাল কনটেন্টের মাধ্যেমে ইতোমধ্যে ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কর্মসূচি চালু করা হয়েছে এবং আরও এক হাজার বিদ্যালয়ে চালু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
ক্যামিলি গার্ডনার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় গ্যাপ নিরসনে গুগল যেকোনো পরামর্শ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ক্যামিলি গার্ডনার ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার উদ্ভাবক হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। মন্ত্রী এ বিষয়ে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।