ইস্পোর্টসে আসছে ডোপ টেস্ট

ক্রীড়া জগতে ডোপিং কোনো অজানা বিষয় নয়। অনেক সময় খেলোয়াড়েরা নানা নিষিদ্ধ শক্তিবর্ধক ওষুধ নিয়ে থাকেন- যেগুলো সেবন করা বেআইনি। আর এসব ব্যাপার যেন না ঘটে- সেজন্য আখছারই বড় টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনের আগে খেলোয়াড়দের ডোপ টেস্ট দিতে হয় । কিন্তু ভিডিও গেমসের টুর্নামেন্টের জন্য ডোপ টেস্ট! ব্যাপারটা নতুনই বটে।
বিশ্বজুড়ে ভিডিও গেমসের টুর্নামেন্ট আয়োজন করে যেসব সংগঠন, ইলেক্ট্রনিক স্পোর্টস লিগ সেগুলোর অন্যতম। প্রায় ৬০ লক্ষাধিক সদস্যবিশিষ্ট এই সংগঠন ঘোষণা দিয়েছে এবার থেকে তাদের যেকোনো টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার আগে খেলোয়াড়দের ডোপ টেস্টে অংশ নিতে হবে । বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে এ খবর।
অবশ্য এ রকম পদক্ষেপ নেওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে । সম্প্রতি কোরি ফ্রেসেন নামক একজন খেলোয়াড় স্বীকার করেছেন মার্চে অনুষ্ঠিত একটি টুর্নামেন্টে তিনি নিষিদ্ধ অ্যাডেরাল গ্রহণ করেছিলেন। এই খবরে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এ জাতীয় টুর্নামেন্টের সাথে জড়িত আয়োজকরা।
বিশেষত এই ধরনের টুর্নামেন্টগুলোর কোন কোনোটির প্রাইজমানি যেখানে পাঁচ লক্ষ ডলারও ছাড়িয়ে যায়, সেখানে ডোপিংয়ের অনুপ্রবেশ আয়োজক আর অংশগ্রহণকারী, উভয় পক্ষের জন্যই খুবই আশঙ্কার কথা । আর তাই ইলেক্ট্রনিক স্পোর্টস লিগের মতো সংগঠনগুলো জোরেশোরেই নেমে পড়েছে ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে, এ কাজে তারা 'ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি'র সাহায্য নেবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
খুব সম্ভবত চলতি বছরের আগস্ট থেকেই এই ডোপিং টেস্ট শুরু হবে, তবে কোন কোন ওষুধ গ্রহণ করলে নিষিদ্ধ হতে হবে- সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
সংগঠনটির একজন কর্মকর্তা টম ফিলিপস জানান, প্রচলিত খেলাতে যেখানে শারীরিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য ড্রাগ নেওয়া হয়, সেখানে ইস্পোর্টসের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন । এখানে শারীরিক শক্তি মুখ্য নয়, মুখ্য হলো মানসিক তৎপরতা, কাজেই এ ক্ষেত্রে তারা গতানুগতিক ধারা থেকে কিছুটা ভিন্নতা অবলম্বন করবেন ডোপ টেস্টের ক্ষেত্রে । পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মানসিক কাউন্সিলিংয়ের সুবিধাও দেওয়া হবে যাতে তাঁরা এই পথে পা না বাড়ান।