না জন্মাতেই লাইক দিচ্ছে জাকারবার্গ-কন্যা!

ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ শিগগিরই বাবা হতে যাচ্ছেন। ফেসবুক পোস্ট দিয়ে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। মিসেস জাকারবার্গ প্রিসিলা চ্যানের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন জাকারবার্গ। সেখানে ৩১ বছর বয়সী জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আলট্রাসনোগ্রামে দেখলাম আমাদের মেয়ে থাম্বস আপ ‘লাইক’ (বুড়ো আঙুল দেখানো) দিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সে কার মতো হতে যাচ্ছে’! সারা দুনিয়াকে লাইক-কমেন্ট-শেয়ার করা শিখিয়েছেন যিনি, তাঁর মেয়ে তো এমন লাইক দিতেই পারে।
জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘এটা আমাদের জীবনের এক নতুন অধ্যায় হতে যাচ্ছে। আমরা দুজনেই অনেক বেশি ভাগ্যবান যে মানুষের সেবায় কাজ করতে পেরেছি। প্রিসিলা একজন ডাক্তার এবং শিক্ষক হিসেবে সেবা করেছে। আর আমি ফেসবুক কমিউনিটির মাধ্যমে। এখন আমরা চেষ্টা করব আমাদের সন্তান এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বিশ্বকে আরো বেশি সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য।’
আনন্দের সংবাদের সঙ্গে নিজেদের জীবনের না জানা একটি বিষয়ও খুব গুরুত্বের সঙ্গে শেয়ার করেছেন জাকারবার্গ। এর আগে কয়েকবার বাচ্চা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাকারবার্গ দম্পতি। কিন্তু পরপর তিনবার প্রিসিলার গর্ভপাতের কারণে সন্তানের মুখ দেখতে পারেননি জাকারবার্গ দম্পতি। তবে এবার ঝুঁকি কম বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। আর সে কারণেই আবেগে ভাসছেন জাকারবার্গ দম্পতি।
বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে জাকারবার্গ লিখেছেন, গর্ভপাতের মতো বিষয়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে আমাদের মধ্যে সমঝোতা, সহ্যক্ষমতা এবং আশা জাগিয়ে রাখতে হবে।
নিজেদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘যখন আপনি জানেন আপনার সন্তান পৃথিবীতে আসছে সেটা খুবই আনন্দের একটি মুহূর্ত। আপনি অনাগত সন্তানদের নিয়ে ভাবতে শুরু করবেন, তারা কেমন হবে, কী করবে সারাক্ষণ এসব ভাবনায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকবেন। কিন্তু যখন গর্ভপাতের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে যায়, তখন একাকিত্ব আপনাকে ঘিরে ধরবে। এটা খুবই কষ্টের অভিজ্ঞতা।’
নিজেদের এই কষ্ট এর আগে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন জাকারবার্গ ও প্রিসিলা। কিন্তু সবাইকে এ বিষয়ে জানানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে জাকারবার্গ লিখেছেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা এর কষ্টটা অনুধাবন করতে পেরেছেন। তাই যাঁরা সন্তান প্রত্যাশা করছেন, তাঁদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার জন্যই আমাদের অভিজ্ঞতা সবার সঙ্গে শেয়ার করলাম।’
২০১২ সালে পালো আল্টোতে মাত্র ১০০ অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেছিলেন জাকারবার্গ।