কীভাবে নাম হলো গুগল, সনি, ইয়াহু?

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে রয়েছে এর নানা রকম ব্যবহার।
এসব প্রতিষ্ঠানের নামেরও রয়েছে নানা রকম বাহার। কোত্থেকে এলো এসব নাম?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে কয়েকটি নামকরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নামকরণের ইতিহাস।
১. গুগল
বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের নাম এসেছে googol থেকে। ১ এরপর ১০০ শূন্য অর্থাৎ বড় অঙ্কের সংখ্যা বোঝাতে গণিতে ব্যবহার করা হয় এই শব্দটি।
২. অ্যামাজন
ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস চেয়েছিলেন ইংরেজি বর্ণমালার প্রথম অক্ষর A দিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম রাখতে। কারণ তাতে অক্ষর অনুযায়ী সাজালে তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামটি শুরুর দিকে থাকবে। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় নদীর নামে প্রতিষ্ঠানের নাম রাখবেন। সেখান থেকেই অ্যামাজন ডটকম।
৩. স্কাইপ
ভিডিও চ্যাটিংয়ের এই জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের নাম প্রথমে ছিল Sky Peer-to-Peer সেখান থেকে সংক্ষেপে করা হলো Skyper আর সবশেষে বাদ পড়ল r হয়ে গেল স্কাইপ।
৪. ইয়াহু
সার্চ ইঞ্জিন, সংবাদ বা মেইল এই তিন কাজে ইয়াহু ব্যবহার করেন অনেকেই। হয়তো ভেবেছেন যে উচ্ছ্বাস প্রকাশের ইয়াহু থেকে এসেছে এই নাম। কিন্তু ব্যাপারটা সে রকম নয়। Yahoo-এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে Yet Another Hierarchical Officious Oracle। জোনাথন সুইফটের গালিভার্স ট্রাভেলস – কাল্পনিক এক প্রজাতির কথা বলা হয়েছে যারা খুবই হিংস্র এবং উচ্ছৃঙ্খল। সেখান থেকেই এই নাম।
৫. সনি
নামটি মূলত এসেছে সোনাস (sonus) থেকে। এটি একটি লাতিন গালি। তবে ১৯৫০-এর দশকে জাপানে এটির অর্থ পরিবর্তন করে ফেলা হয়, জাপানি ভাষায় সনি মানে সুদর্শন তরুণ।
৬. ব্ল্যাকবেরি
স্মার্টফোন নির্মাতা কানাডীয় প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবেরির নামটি এসেছে ব্ল্যাকবেরি ফলের নাম থেকে। ১৯৯৯ সালে নামটি রাখা হয়।
৭. ওরাকল
ওরাকল নামটা ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একটি গোপন প্রজেক্টের নাম। যে প্রজেক্টে কাজ করেছিলেন ওরাকলের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন এবং বব ওটস। সিআইএর প্রজেক্টটি ছিল একটি ডেটাবেস তৈরির, যেখানে পৃথিবীর সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। সেই প্রজেক্টের কোডনেম থেকেই নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম রেখেছিলেন দুই উদ্যোক্তা।
৮. ক্যানন
প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল কাওনন (Kwanon), বৌদ্ধধর্মের এক দেবীর নামে রাখা হয় নামটি। পরে ১৯৩৫ সালে সারা বিশ্বের ব্যবহারকারীদের কথা ভেবে নামটি সহজ করে ক্যানন রাখা হয়।
৯. স্পটিফাই
মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস স্পটিফাই-এর দুই প্রতিষ্ঠাতা ড্যানিয়েল এক এবং মার্টিন লোরেনজন প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিলেন। এমন সময় একের মাথায় আসে নামটি। স্পট এবং আইডেন্টিফাই এই দুটি শব্দ মিলিয়ে স্পটিফাই।