গোয়েন্দা নজরদারি এড়াতে অ্যাপস

স্মার্টফোনের ওপর নজরদারির বিষয়টি এখন বেশ আলোচিত। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া না হলে হ্যাকাররা সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে আপনার স্মার্টফোনের মূল্যবান সব তথ্য। আর গোয়েন্দারাও জেনে নিতে পারে আপনার গোপন তথ্য। নিজের স্মার্টফোনটিকে এমন নজরদারি ও হ্যাকিংয়ের বাইরে রাখতে ব্যবহার করতে পারেন নিরাপত্তাবিষয়ক অ্যাপস।
বর্তমানে অনেক অ্যাপ পাওয়া যায়, যা ব্যবহারে সহজেই স্মার্টফোনের তথ্যের সুরক্ষা দেওয়া যায়। একই সঙ্গে নজরদারি এড়িয়ে কল করা ও বার্তা পাঠানোসহ অনলাইনে সব ধরনের যোগাযোগ করা যায়। অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস, মাইক্রোসফটসহ সব ধরনের স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেমের জন্যই ইন্টারনেটে নজরদারি ও হ্যাকিং এড়ানোর অ্যাপ পাওয়া যায়। আর এসব অ্যাপের অধিকাংশই পাওয়া যায় বিনামূল্যে।
আইফোনে ভিডিও, অডিওসহ যে কোনো ধরনের বার্তা পাঠাতে ব্যবহার হয় আইমেসেজ ও ফেসটাইম। আইফোন থেকে আইফোনে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অ্যাপলের বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা (ইনক্রিপশন) পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে অন্য কেউ চাইলেও ওই বার্তা পড়তে পারবে না।
এ ছাড়া নজরদারি এড়িয়ে যোগাযোগের আরেকটি ভালো অ্যাপ হলো ওয়াটসঅ্যাপ। এর মাধ্যমে নিরাপদে বার্তা আদানপ্রদান থেকে শুরু করে অনেক সুবিধাই পাওয়া যায়।
নিরাপদে ও নজরদারি এড়িয়ে চলার আরো অনেক অ্যাপই পাওয়া যায়। কাজের দিক থেকে প্রায় সবই হোয়াটসঅ্যাপের মতো। নিজের স্মার্টফোনের অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী অনলাইন থেকে অ্যাপস নামিয়ে নেওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র একটি অ্যাপ ব্যবহার করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রের নিরাপত্তার জন্য ভিন্ন ভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নজরদারির যে হারে বাড়ছে তাতে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সব অ্যাপ ব্যবহার করেও নিরাপত্তা শতভাগ নিশ্চিত করা যায় না। তবে একদম নিরাপত্তাহীনতার চেয়ে ভালো।