ইন্টারনেট ব্যবহারে পিছিয়ে নারীরা

গত এক দশকে সারা বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে দ্রুতগতিতে। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সবাই ব্যবহার করছে ইন্টারনেট। থেমে নেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণও। তবে এর অনুপাত কিন্তু নারী-পুরুষে সমান নয় মোটেও। উন্নয়নশীল দেশের নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে ইন্টারনেট ব্যবহারে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট এনবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন বলছে এ কথা।
কেনিয়া, ফিলিপাইন, কলম্বিয়াসহ নয়টি উন্নয়নশীল দেশের নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ফাউন্ডেশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, নারীরা পুরুষের তুলনায় অনেক কম ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন। ওই জরিপ অনুযায়ী, ৫৯ শতাংশ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, যেখানে নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী মাত্র ৩৯ শতাংশ।
সারা বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। তবে যত দ্রুতগতিতে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে, তার সঙ্গে মিল রেখেই দ্রুত সৃষ্টি হচ্ছে প্রযুক্তিগত বিভেদ। ফলে ইন্টারনেট বা প্রযুক্তির উন্নয়ন যতটা বাড়ছে, সবাই কিন্তু সেই সুবিধার নাগাল পাচ্ছেন না।
ওই জরিপ অনুযায়ী, উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী যেভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তা উন্নত দেশগুলোর সমতুল্য। কিন্তু বয়স্ক বা অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী এ সুবিধা ভোগ করার সুযোগ একেবারেই পাচ্ছে না বলা চলে। অন্তত মাধ্যমিক শিক্ষা পেয়েছেন এমন নারীর ভেতর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা অশিক্ষিত নারীর তুলনায় ছয় গুণ বেশি।
সবশেষে বলা হচ্ছে, শুধু দেশে দেশে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছানোই যথেষ্ট নয়। যতদিন না পর্যন্ত নারীরা এটি পুরুষদের সঙ্গে সমানতালে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন, ততদিন পর্যন্ত বিশ্বের জনগণ ইন্টারনেটের বিপুল সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে পারবেন না।