চীনের জন্য গুগলের আলাদা প্লে-স্টোর

গুগল আশা করছে আগামী বছরই তারা চীনে প্লে-স্টোর চালু করবে। তথ্যপ্রযুক্তির ওপর বিধিনিষেধের কারণে এত দিন সেটা অসম্ভব ছিল। তবে চীন সরকার আইন শিথিল করেছে ভাবলে ভুল করবেন। বরং গুগলই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ষণশীল দেশটির বিধিনিষেধ মেনে চলে সম্পূর্ণ আলাদা রকমের একটি প্লে-স্টোর তৈরি করতে।
শুধু চীনের নাগরিকদের জন্য তৈরি এই বিশেষ প্লে-স্টোরের সাথে গুগলের আসল প্লে-স্টোরের কোনোরূপ সম্পর্ক থাকবে না। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ জানিয়েছে এ খবর।
অবশ্য এই বছরের শুরুর দিকে ‘দ্য ইনফরমেশন’ দাবি করেছিল এই বছরই চীনে প্লে-স্টোর চালু করবে গুগল। কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি পরবর্তী সময়ে।
চীনে গুগল বন্ধ পাঁচ বছর ধরে। দেশটির সমাজতান্ত্রিক সরকার গুগলের সার্চ রেজাল্টে সেন্সরশিপ বসাতে চাইলে গুগল সেটি প্রত্যাখ্যান করে। আর এই ঘটনাই কাল হয়ে দাঁড়ায় বিশ্বের অন্যতম এই টেক জায়ান্টের জন্য। চলে যেতে হয় চীন ছেড়ে।
কিন্তু সময় কেটেছে অনেক। প্রায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটির বড় প্রযুক্তি বাজারে গুগল এবং ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো প্রবেশ করতে পারেনি। তাই সর্বোচ্চ পরিমাণে ছাড় দিয়ে হলেও গুগল চীনে তাদের কার্যক্রম আবার শুরু করতে চাচ্ছে।
গুগলের উপস্থিতি না থাকায় চীনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই টেক জায়ান্ট অ্যাপল ব্যাপকভাবে তাদের ব্যবসা বিস্তার করেছে এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে। অন্যদিকে ‘বাইদু’ এবং ‘ওয়ানদুজিয়ার’ মতো স্থানীয় স্টার্টআপগুলো যথাক্রমে গুগল সার্চ এবং প্লে-স্টোরের জায়গায় অবস্থান করছিল।
তাই চীনে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করার পর গুগলকে বাজার দখলে বেশ শক্তিশালী লড়াইয়ের মুখে পড়তে হবে। অন্যদিকে গুগল ফিরে আসার সংবাদটি চীনের নাগরিকদের জন্য সুখবর হলেও, অন্য টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য রীতিমতো বাজার হারানোর হুমকিস্বরূপ।