হাঙ্গরের উপস্থিতি জানাবে ড্রোন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/27/photo-1448634140.jpg)
সাগরে সাঁতার কাটতে নেমে হাঙ্গরের কামড়ে হতাহত হন অনেকেই। সমুদ্রের এই হিংস্র মাছগুলো মানুষদের থোড়াই কেয়ার করে। বিশেষ করে হাঙ্গর উপদ্রুত অঞ্চল যেমন অস্ট্রেলিয়ায় এমন হতাহতের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আবার সামুদ্রিক প্রাণীদের ওপর যথেচ্ছ নিধন অভিযান চালানোটাও উন্নত বিশ্বের দেশটির কাছে ঠিক গ্রহণযোগ্য সমাধান নয়।
আর তাই এবার ড্রোন ব্যবহার করে সাগরে হাঙ্গরের উপদ্রব কমানোর পরিকল্পনা করেছে দেশটি। যুক্তরাজ্যের সংবাদ সংস্থা বিবিসির ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া গেছে এ খবর।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস অঙ্গরাজ্যের তীরবর্তী অঞ্চলগুলো হাঙ্গরের হামলার কারণে কুখ্যাত। গত এক বছরে ওই অঞ্চলে বেশ কিছু ভয়াবহ হামলা হয়েছে। তাই আপাতত অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পরীক্ষামূলকভাবে ওই সব সৈকতে ড্রোন মোতায়েন করেছে। ড্রোনগুলো সমুদ্রের তীরে কোনো হাঙ্গরের আনাগোনা হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখবে।
জিপিএস কো-অর্ডিনেশন ব্যবহার করে চলা এই ড্রোনগুলোর পাশাপাশি হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। সরকারের মুখপাত্র নিয়াল ব্লেয়ারের ভাষ্যমতে, ‘সমুদ্রসৈকতগুলো সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখার জন্য কোনো পদ্ধতি এখনো আবিষ্কার হয়নি। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মানুষের জন্য সমুদ্রকে যতটা সম্ভব নিরাপদ করে তুলতে।’
ড্রোনগুলো এখনো প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে আছে। নিউ সাউথ ওয়েলসের ‘কফ বিচে’ এই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া বিশেষ রকমের জালও ফেলে রাখা হবে সমুদ্রে। হাঙ্গরগুলো জালের কাছাকাছি আসা মাত্র সতর্কসংকেত পৌঁছে যাবে তীরবর্তী কোস্টগার্ডদের কাছে।
কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে ‘শার্ক সামিট’-এর আয়োজন করা হয়। সেই সামিটে কীভাবে হাঙ্গরের উপদ্রব কমানো যায় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউ সাউথ ওয়েলসের সমুদ্রে হাঙ্গরের কামড়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় একজন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়। এর পর থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন হয়েছে দেশটির সরকার।