বাস্তবে ‘ব্লাকহোল’ নেই!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/28/photo-1448722294.jpg)
বাস্তবে ‘ব্লাকহোল’ (কৃষ্ণগহ্বর) নেই বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সম্প্রতি মহাকাশে একটি ব্লাকহোল থেকে এক্সরে রশ্মি নির্গত হওয়ার বিষয়টি শনাক্তের পর নাসার গবেষকরা এই দাবি করেছেন। অবশ্য এর আগেই ভারতীয় এক বিজ্ঞানী ব্লাকহোল বাস্তবে সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাই বলা চলে, ভারতীয় বিজ্ঞানীর দাবিকেই সমর্থন করল নাসা।
ইন্ডিয়া টাইমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্লাকহোল থেকে কোনো বস্তুর নির্গত হওয়া বিশেষ গুরুত্ব বহন করেন কারণ এটি ব্লাকহোল তত্ত্বের পরিপন্থী। তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রচণ্ড আকর্ষণ শক্তির কারণে ব্লাকহোলের মধ্যে থেকে আলো পর্যন্ত ফিরে আসে না। কিন্তু ব্লাক হোল থেকে এক্সরে রশ্মি ফিরে আসার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত মাসে নাসা ঘোষণা করে, একটি বৃহৎ ব্লাকহোল থেকে এক্সরে বিপুল পরিমাণ এক্সরে রশ্মি নির্গত হতে দেখা গেছে। বিপুল পরিমাণ চার্জিত বস্তু ব্লাকহোল থেকে বেরিয়ে আসার কারণেই এমনটি ঘটেছে। কিন্তু দুটোই ব্লাকহোলের তত্ত্বের পরিপন্থী হলেও ভারতীয় এক বিজ্ঞানীর তত্ত্বের সঙ্গে মিলে যায়।
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী আভাস মিত্রের তত্ত্ব অনুযায়ী, ব্লাক হোল আসলে সূর্যের মতোই অতি উত্তপ্ত। প্রচণ্ড আকর্ষণের কারণে ব্লাকহোলে গ্যাসের বাষ্পের গতি ভেতরের দিকে। তাই হঠাৎ করে ব্লাকহোল থেকে এক্সরে রশ্মি বের হতে পারে। মুম্বাইয়ের ভবা আণবিক গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক প্রধান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী মিত্রা বর্তমানে হোমি ভবা জাতীয় ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক।
অবশ্য ব্লাকহোলের অস্তিত্ব নিয়ে এর আগেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্লাকহোল তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। গত বছর তিনি বলেন, বাস্তবে ব্লাকহোলের অস্তিত্ব নেই।
গবেষকদের তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি নক্ষত্রের জীবন শেষে সৃষ্টি হয় ব্লাকহোল। একবার ব্লাকহোল তৈরি হলে এটি চারপাশ থেকে ভর নিয়ে বড় হতে থাকে। অনেক নক্ষত্র এবং অন্যান্য ব্লাকহোলকে নিজের মধ্যে নিয়ে সৃষ্টি হয় বৃহৎ ব্লাকহোল।