অ্যামাজনের ‘প্রাইম এয়ার ড্রোন’ যেভাবে পণ্য পৌঁছে দেবে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/11/30/photo-1448867464.jpg)
অনলাইনে পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের হাতে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেওয়ার তাড়া থাকে সরবরাহকারীদের। অনলাইনে পণ্য বিক্রি এবং তা ক্রেতার কাছে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার জন্য অ্যামাজন ২০১৩ সাল থেকেই ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলে আসছে। নতুন সংযোজন হলো এবার তারা সত্যিই কীভাবে ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য পৌঁছে দেবে সেটি সবার সামনে হাজির করেছে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে, ‘প্রাইম এয়ার ড্রোন’ নামের এই ড্রোন দিয়ে অ্যামাজন সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ক্রেতার দোরগোড়ায় পণ্য পৌঁছে দেবে।
অ্যামাজনের এক ভিডিওতে পুরো ব্যাপারটি হাতেকলমে দেখানো হয়েছে। আর এই ভিডিওটি উপস্থাপনা করেছেন টপ গিয়ার-এর সাবেক উপস্থাপক জেরেমি ক্লার্কসন, যিনি এখন অ্যামাজনের হয়ে উপস্থাপনা করছেন।
ভিডিওতে অ্যামাজনের যে ড্রোনটি দেখানো হয়েছে, তার ডিজাইন একেবারেই নতুন। অ্যামাজনের পণ্য পরিবহনের জন্যই এটি আলাদাভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। অন্যান্য যে কোনো ড্রোনের থেকেই এর চেহারা আলাদা, যা এর বিশেষত্বকে ফুটিয়ে তুলেছে। ড্রোনটির উপরিভাগে পণ্য রাখার জন্য বেশ জায়গা রাখা হয়েছে এবং পণ্যটিকে ভালোমতো বেঁধে ফেলার ব্যবস্থাও রয়েছে।
ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, মাটি থেকে ৪০০ ফুট উঁচুতে স্বাচ্ছন্দ্যেই উড়তে পারবে প্রাইম এয়ার ড্রোন। অ্যামাজনের গুদামঘর থেকে ১৫ মাইল দূর পর্যন্ত পণ্য পৌঁছে দিতে পারবে এসব ড্রোন। অ্যামাজন বলছে, নিরাপদে ওড়ার জন্য ড্রোনগুলোতে ‘সেন্স অ্যান্ড অ্যাভয়েড টেকনোলজি’ রয়েছে, যার মাধ্যমে সংঘর্ষ এড়িয়ে নিরাপদে পণ্য পৌঁছে দিতে পারবে ড্রোনগুলো।
আর কোথায় পণ্য পৌঁছে দিতে হবে তার একটা নিশানাও ঠিক করা থাকে। অ্যামাজনের ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন ক্রেতার আঙিনায় পণ্যটি পৌঁছে দিয়ে ফিরতি পথ ধরেছে ড্রোন। আর পণ্য পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার মোবাইলে পণ্য পৌঁছানোর নোটিফিকেশন চলে যায়, যাতে দ্রুত তিনি পণ্যটি সংগ্রহ করতে পারেন।
পণ্য সরবরাহে ড্রোন ব্যবহারে অ্যামাজনের প্রস্তুতি থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এখনো ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক ড্রোন চলাচলের অনুমতি দেয়নি। তাই প্রস্তুতি থাকলেও কবে নাগাদ প্রাইম এয়ার ড্রোনকে পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে তা এখনো নিশ্চিত নয় অ্যামাজন।