যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত হবে লেজার রশ্মি

সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়, লেজার নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে যুদ্ধ করছে পক্ষ-বিপক্ষের সৈনিকরা। যদিও বাস্তবের যুদ্ধক্ষেত্রে এতকাল তা দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে যুক্ত হবে লেজারচালিত অস্ত্র, যা প্রচলিত যুদ্ধের ধারণাকে পুরোপুরি পাল্টে দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার কেলি হ্যামেটের মতে, বহু বছরের গবেষণার ফলে তাঁরা এখন বাস্তবেই লেজারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সক্ষমতার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছেন। ২০২০ সাল নাগাদ তাঁরা এ অস্ত্রের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করবেন। এই প্রজেক্টের পেছনে মার্কিন সরকার খরচ করছে প্রায় পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার।
লেজার রশ্মি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় সমস্যাটা হলো, এতদিন ছোট আকারের যুদ্ধবিমানের তীব্র গতির কারণে তা ব্যবহার করা যেত না, তবে গবেষকরা এর সমাধান বের করেছেন।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লেজার রশ্মির খুব ছোট আকারের বিম নির্দিষ্ট বিন্দু লক্ষ্য করে তাক করা হবে, তার পর ক্রমে ওই বিমের তীব্রতা বাড়াতে থাকলে লক্ষ্যবস্তু একসময় ধ্বংস হয়ে যাবে। কাগজে-কলমে খুবই কার্যকর মনে হলেও বাস্তবে তা এতদিন সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি।
লেজার রশ্মির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, সাধারণ বিদ্যুৎ থেকেই এটি তৈরি করা যায়। ফলে যুদ্ধবিমানকে আর বাড়তি অস্ত্র বহন করতে হবে না, কেবল প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি নিলেই চলবে। আর এই জ্বালানি পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে, তা দিয়ে তৈরি হবে লেজার রশ্মি।
এ ছাড়া মার্কিন গবেষকেরা চাইছেন, ৩৬০ ডিগ্রি একটি লেজারের বৃত্ত দিয়ে গোটা যুদ্ধবিমানকে ঢেকে দিতে। ফলে শত্রুপক্ষ এসব বিমানের কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না। অবশ্য এ জন্য প্রচলিত বিমানের গঠনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটাতে হবে।