তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ডিনেটের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/01/05/photo-1452008402.jpg)
সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতার লক্ষ্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং প্রযুক্তি সহায়তা প্রতিষ্ঠান ডিনেট-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সামাজিক উন্নয়নের অংশ হিসেবে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে তথ্যসেবা কেন্দ্র, স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, মোবাইলের মাধ্যমে মাতৃস্বাস্থ্য সেবা এবং গ্রামীণ শিক্ষিত নারীদের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে তথ্য-প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার লক্ষ্যে এই স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
সমঝোতা স্মারকের মূল বিষয়গুলো হলো, তথ্যকল্যাণী ও আপনজনের মতো পরীক্ষিত উদ্ভাবনকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে বর্ধিতকরণে কাজ করা; ডিনেটের উদ্ভাবিত বিভিন্ন মডেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এর আরএনডি ল্যাবের সহযোগিতায় প্রচার করা; কর্মসংস্থান তৈরির জন্য আইসিটি বিভাগের দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হওয়া, তথ্য-প্রযুক্তি খাতে সার্ভিস প্রোভাইডারের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করা; তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পিপিপি মডেল অনুসারে সরকারের সঙ্গে কিছু প্রকল্প, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করা এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাত সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য নিয়ে দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ। এ ছাড়া ডিনেটের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ এবং ডিনেটের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনন্য রায়হান সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
ডিনেট একটি অ-লাভজনক সামাজিক উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান। সামাজিক উন্নয়ন মডেলের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয়ে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করাই ডিনেট-এর মূল লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও শিশুর জীবনের মান উন্নয়নের জন্য পরিচালিত হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবন-জীবিকা, নারীর ক্ষমতায়নের সঙ্গে তথ্য-প্রযুক্তিকে সম্পৃক্ত করে সমাজের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে ডিনেট।