যুক্তরাষ্ট্রই সবচেয়ে বড় হ্যাকার : সাবেক গোয়েন্দা-প্রধান হেইডেন

হ্যাকিং নিয়ে সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত কম জল ঘোলা হয়নি। কখনো কখনো অজানা হ্যাকার গ্রুপ হ্যাক করেছে নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট। তো কখনো সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোই অভিযুক্ত হয়েছে হ্যাকিংয়ের অপরাধে। অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন জেনারেল মাইকেল হেইডেন সেই বিতর্ক উসকে দিলেন বলা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ)-এর প্রাক্তন প্রধান মাইকেল হেইডেন মায়ামির এক সাইবার সিকিউরিটি কনফারেন্সে বলেছেন, ‘আমরা মানুষের তথ্য-উপাত্ত প্রায়ই চুরি করে থাকি।’ এ খবর জানিয়েছে সিএনএন অনলাইন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেইডেনের মতে বিশ্বের সব দেশের সরকারই নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে থাকে, যুক্তরাষ্ট্র শুধু এই কাজটি অন্যদের থেকে ভালো পারে।
মায়ামির ওই কনফারেন্সের আলোচ্য বিষয় ছিল কীভাবে আধুনিক হ্যাকারদের ক্রমবর্ধমান আক্রমণ ঠেকানো যায় তা নিয়ে। তাতে হেইডেন এই বক্তব্য দিলে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
তবে সাবেক এই নিরাপত্তা কর্মকর্তা সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গোপনে যেসব তথ্য জোগাড় করে, তা নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্যই করে। এর পেছনে অন্য কোনো অসাধু উদ্দেশ্য কাজ করে না।’
পৃথিবীর আরো চারটি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশও এই কাজ করে থাকে বলে জানান তিনি। দেশগুলি হলো অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
তাঁর মতে, অন্য সব দেশ, বিশেষ করে চীন নাকি মূলত অবৈধ নানা উদ্দেশ্যে নাগরিকদের তথ্য চুরি করে থাকে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধু দেশগুলো যা করে তা নিছকই নিরাপত্তার স্বার্থে। তবে তিনি এও স্বীকার করেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তথ্য সংগ্রহ আর অন্য উদ্দেশ্যে তথ্য সংগ্রহের মাঝের ফারাকটা খুবই সূক্ষ্ম।