মহাকাশযান প্রকল্পে একসঙ্গে হকিং ও জাকারবার্গ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/04/13/photo-1460535326.jpg)
অন্য নক্ষত্রব্যবস্থায় ছোট মহাকাশযান পাঠানোর পরিকল্পনায় সমর্থন দিয়েছেন বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। একই পরিকল্পনায় যোগ দিয়েছেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং অর্থায়ন করছেন রাশিয়ার ধনকুবের ইউরি মিলনার।
বিবিসি জানিয়েছে, নির্ধারিত প্রকল্পে কম্পিউটারে বৈদ্যুতিক বর্তনীর মতো ছোট আকৃতির মহাকাশযান বানানো হবে, যা হাজারকোটি মাইল দূরত্ব পাড়ি দিয়ে অন্য নক্ষত্রব্যবস্থায় পৌঁছাবে। এই প্রকল্পের গবেষণায় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১০ কোটি মার্কিন ডলার।
সৌরজগৎ পাড়ি দিয়ে অন্য নক্ষত্রমণ্ডলে যাওয়া মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা রয়েই গেছে।
স্টিফেন হকিং বিবিসিকে বলেন, মানুষের কল্পনার বাস্তবায়ন হবে শিগগিরই। একটি প্রজাতি হিসেবে বাঁচতে চাইলে মানুষকে অন্য নক্ষত্রব্যবস্থায় পৌঁছাতেই হবে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, আলফা সেঞ্চুরিক নক্ষত্রব্যবস্থায় পৃথিবীর মতোই কোনো গ্রহ থাকার সম্ভাবনা আছে। আর আগামী কয়েক দশকে ভূ-পৃষ্ঠে ও মহাশূন্যে স্থাপিত টেলিস্কোপের (দূরবীক্ষণ যন্ত্রে) মাধ্যমে এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারবে মানুষ।
স্টিফেন হকিং বলেন, গত দুই দশক ও ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন মানুষের দূর মহাকাশ নিয়ে গবেষণাকে সম্ভব করবে।
মিলনার ফাউন্ডেশন বলে এক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্টিফেন হকিং দূর মহাকাশ নিয়ে গবেষণার বিষয়টি সমর্থন করেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিলনার ফাউন্ডেশন একদল বিখ্যাত বিজ্ঞানীকে একত্র করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির কর্মযজ্ঞ দেখে আশা করা যায় আগামী প্রজন্মেই অন্য নক্ষত্রব্যবস্থায় ছোট মহাকাশযান পাঠানো এবং সেখান থেকে তথ্য নেওয়া সম্ভব হবে।
পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রব্যবস্থা ৪০ হাজার কোটি কিলোমিটার দূরে। বর্তমান সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির মহাকাশযান পাঠানো হলেও সেখানে পৌঁছাতে ৩০ হাজার বছর সময় লাগবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মহাকাশ গবেষণা অব্যাহত থাকলে আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই অন্য নক্ষত্রব্যবস্থায় মহাকাশযান পাঠানো সম্ভব হতে পারে।