বৃহস্পতি গ্রহের ছবি পাঠাল জুনো

বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করার পর প্রথম ছবি পাঠিয়েছে মহাকাশযান জুনো। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার এ খবর জানানো হয়েছে।
নাসার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পৃথিবীর চেয়ে অনেক আলাদা এই বৃহস্পতি গ্রহ। পৃথিবীতে যেমন ২৪ ঘণ্টায় একদিন হয়, বৃহস্পতিতে একদিন হয় ১০ ঘণ্টায়। গবেষকরা বলছেন, বৃহস্পতির বিকিরণ পৃথিবীর তুলনায় কয়েক লাখ গুণ বেশি শক্তিশালী।
জুনোর পাঠানো যে ছবিটি নাসা প্রকাশ করেছে, সেটি গত রোববার তোলা। ৪৩ লাখ কিলোমিটার দূর থেকে বৃহস্পতির ছবিটি তোলা হয়েছে। জুনোর তোলা ছবিটিতে বৃহস্পতির গায়ে বিখ্যাত লাল দাগ দেখা যাচ্ছে।
গত ৪ জুলাই বৃহস্পতির কক্ষপথে সফলভাবে প্রবেশ করে মহাকাশযান জুনো। এর ছয়দিন পর জুনোর ক্যামেরা চালু করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সান আন্তোনিওর সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর স্কট বোল্টন বলেছেন, জুনোর পাঠানো ছবিগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, মহাকাশযানটি বৃহস্পতির কক্ষপথে সফলভাবে টিকে আছে। তীব্র বিকিরণের মধ্যে জুনোকে সচল রাখাটাই ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ।’
আরিজোনার প্ল্যানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের কো-ইনভেস্টিগেটর ক্যান্ডি হ্যানসেন বলেন, ‘জুনোক্যাম এখন থেকে নিয়মিত বৃহস্পতির বিভিন্ন ধরনের ছবি পাঠাবে।’
বৃহস্পতিকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে আটটি দূরনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ও ক্যামেরা দিয়ে বৃহস্পতি গ্রহের বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলবে জুনো। এর ফলে বৃহস্পতি গ্রহের আবহাওয়া, তাপমাত্রা, মাটি ও অন্যান্য বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবেন বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতি গ্রহের অক্সিজেন ও পানির সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখা হবে। আদৌ গ্রহটি মানুষের বসবাস উপযোগী কি না, সেটা গবেষণা করে দেখবেন বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতি গ্রহটি পৃথিবীর তুলনায় ১১ গুণ প্রশস্ত ও ৩০০ গুণ বড়। হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাসে পরিপূর্ণ এই গ্রহ।