ছুটির দিনে
দেখে আসুন শতবর্ষ পুরোনো মসজিদ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/10/25/photo-1540466010.jpg)
মসজিদের শহর ঢাকাকে বলা হয়। তাই ঢাকার এক ঐতিহ্যবাহী মসজিদ হলো শতবর্ষী কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ। নামে না চিনলেও ছবি দেখে অনেকেই একে চিনে উঠতে পারেন। পুরান ঢাকার কসাইটুলীর কে পি ঘোষ রোডে কাস্বাবটুলি জামে মসজিদটি অবস্থিত। আসছে ছুটির দিনগুলোতে চাইলে আপনি ঘুরে আসতে পারেন শতবর্ষ পুরোনো এই মসজিদ থেকে।
ইতিহাস
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ‘ঢাকা কোষ’ গ্রন্থ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মসজিদটির নির্মাণকাল ১৯০৭ সাল। নির্মাণ করেন আবদুল বারী নামের জনৈক ব্যবসায়ী। এটিকে অনেকে ‘চিনির টুকরা মসজিদ’ নামেও চিনে থাকে। কারণ, মসজিদের গায়ে চীনামাটির সাদা টুকরাগুলো দেখতে চিনির দানার মতো হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদটিকে এই নামে ডাকেন। মসজিদটি তৈরিতে উজ্জ্বল রঙের চীনামাটির তৈরি মোজাইকের ব্যবহার বেশি।
যা দেখবেন
চোখ জুড়ানো স্থাপত্যশৈলী নিদর্শন কাস্বাবটুলি জামে মসজিদ। মুঘল স্থাপত্য রীতি অনুসরণ করে নির্মিত নান্দনিক নকশা-খচিত কাস্বাবটুলি মসজিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এতে করা ‘চিনিটিকরির কারুকাজ’। চীনামাটির বর্ণিল টুকরো দিয়ে পুরো মসজিদটির নকশা করা হয়। মূল ভবনের ভেতরে ও বাইরের দেয়ালসহ সম্পূর্ণ জায়গায় চিনিটিকরি পদ্ধতির মোজাইক দিয়ে দারুণ নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চীনামাটির ভাঙা টুকরা আর রঙিন কাচ দিয়ে গোলাপ ঝাড়, আঙুরের থোকা, ফুলদানির ছবি মসজিদের দেয়ালে-খিলানে দৃষ্টিনন্দন চিত্রের উপস্থাপন তৈরি করেছে। মসজিদের ভেতরের মিহরাব ও মিহরাবের আশপাশের নকশাগুলো সবচেয়ে রঙিন ও জমকালোভাবে তৈরি। মসজিদটির দেয়ালে আঁকা বিভিন্ন নকশা ছাড়াও রয়েছে চীনামাটির টুকরো দিয়ে করা ক্যালিগ্রাফি। আয়তাকার মসজিদটির ছাদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। চার কোনায় রয়েছে চারটি বুরুজ। মসজিদটির সমতল কোনো ছাদ নেই। গম্বুজগুলোর উচ্চতা ৫-১২ ফুট। পদ্মফুলের নকশা করা তীর রয়েছে গম্বুজ আর বুরুজের মাথায়। ছাদের চারদিকে রয়েছে নকশা করা অনেকগুলো টারেট। মসজিদের নকশাকে এগুলো আরো আকর্ষণীয় করে তুলছে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো প্রান্ত থেকে বাবুবাজার ব্রিজ বা বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতুতে আসতে হবে। এখান থেকে রিকশা নিয়ে যেতে হবে। হেঁটেও যেতে পারেন। কসাইটুলীর চিনির মসজিদ বললে যে কেউ নিয়ে যাবে। ভাড়া নেবে মতিঝিল থেকে ৮০-১০০ টাকা।