কক্সবাজারে বিচ কার্নিভালের দ্বিতীয় দিন
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার সেজেছে নতুন সাজে। ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে আয়োজন করা হয়েছে তিনদিনের সৈকত উৎসব ‘বিচ কার্নিভাল’।
আজ শুক্রবার আয়োজনের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে নাচ করেছে রাখাইনদের একটি নাচের দল। আজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্টে গাইছেন এলআরবি, আঁখি আলমগীর, শফি মণ্ডল, চিরকুট, ফকির শাহাবুদ্দিন ও রাজীব। বিচসজ্জার পাশাপাশি সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক কর্মসূচি রাখা হয়েছে।
যৌথভাবে ‘বিচ কার্নিভাল’ আয়োজন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। কার্নিভালে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, হেলথ পার্টনার স্যাভলন, টেলিকাস্ট পাটনার এনটিভি এবং সহযোগী ফ্রেশ ও এপেক্স।
তিনদিনের এই আয়োজনে দেশসেরা শিল্পীদের গান, স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নাচ, রাতের সৈকতে আতশবাজি পোড়ানোসহ রয়েছে নানা আয়োজন। উৎসবকে ঘিরে রয়েছে মেলা; এই মেলায় নানা ধরনের খাবারের প্রদর্শনী, লোকশিল্প প্রদর্শনী, ঘুড়ি উৎসব, বিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, বালুর ভাস্কর্য তৈরি, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ আরো নানা আয়োজন।
বিচ কার্নিভালকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সৈকতে বহু মানুষের সমাগম লক্ষ করা গেছে। আশা করা যাচ্ছে, উৎসবের এই তিনদিনে প্রায় ১০ লাখ দর্শকসমাগম হবে। উৎসবের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করছে গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড।
উৎসবের তৃতীয় ও শেষ দিনে আগামীকাল সংগীত পরিবেশন করবে মিলা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস, বারী সিদ্দিকী, জলের গান, তীরন্দাজ, ঝিলিক, নিশিথা ও বান্দরবান।