আফগান কৃষক আলেম একাই উদ্ধার করেন ৪০ মরদেহ, মৃত বেড়ে হাজার
আফগানিস্তানের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে, এখনো সরকারি উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম ‘জিয়ানে’। সেখানে আশপাশের শহর ও গ্রাম থেকে উদ্ধারকারীরা এসে কাজ করছেন। আলেম ওয়াফা এক কৃষকই উদ্ধার করেছেন ৪০ মরদেহ। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, ছয় দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে এপর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার। এ ছাড়া ভূমিকম্পে দেড় হাজারের মতো মানুষ আহত হয়েছে।
পাকিস্তান সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিনগত রাত দেড়টার কিছুক্ষণ পরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটিতে গত দুই দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প। এ সময় অধিকাংশ মানুষ ঘুমে আচ্ছন্ন ছিল।
স্থানীয় কৃষক আলেম ওয়াফা কাঁদতে কাঁদতে বিবিসিকে বলেন, ‘উদ্ধারকারী দল এখনো দূরবর্তী গায়েন গ্রামে পৌঁছাতে পারেনি, যা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একটি। সেখানে সরকারি সাহায্যকর্মী পৌঁছাতে না পারলেও আশপাশের শহর ও গ্রাম থেকে উদ্ধারকারী মানুষ এসেছেন। আমি সেখানে সকালে পৌঁছাই। এ পর্যন্ত সেখানে আমি নিজেই ৪০ মরদেহ পেয়েছি।’
আলেম ওয়াফা আরও বলেন, ‘মরদেহের মধ্যে বেশির ভাগই যুবক ও শিশু। সেখানে একটি হাসপাতাল আছে। কিন্তু তাদের সামর্থ্য না থাকায় এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারছে না।’
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, আফগানিস্তানের পাকতিকায় ভূমিকম্পে ভূমিধস হয়েছে এবং মাটির তৈরি বাড়িগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকারীরা আহতদের চিকিৎসার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছে৷
তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেছেন, শত শত বাড়ি তছনছ হয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পাকতিকা প্রদেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিন হাজিফি বিবিসিকে বলেন, সেখানে এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং এক হাজার ৫০০ জন আহত হয়েছে। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এখনো উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।