আফগান নারীদের অধিকার সুরক্ষায় কোনো আপস নয় : মালালা
আফগানিস্তানে নারী অধিকার সুরক্ষায় কোনো আপস না করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী পাকিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাই, যিনি ২০১২ সালে তালেবানের হামলার শিকার হন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ রোববার এক প্রতিবেদনে জানায়, গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আফগান মেয়েদের শিক্ষা বিষয়ক একটি প্যানেলের আলোচনায় অংশ নিয়ে মালালা ইউসুফজাই এ আহ্বান জানান।
আফগান তালেবানের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা কাজ করার পদক্ষেপ গ্রহণ ইস্যুতে মালালা বলেন, ২০ বছর আগে ক্ষমতায় থাকার সময়ে তালেবান যে ধরনের কাজ করেছে, তারা এখনো একই কাজ করতে পারে বলে তিনি উদ্বিগ্ন। যদিও সেই সময়ের পর থেকে দেশটিতে নারীদের কাজ এবং শিক্ষার সুযোগ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।
মালালা ইউসুফজাই বলেন, ‘আমরা নারীদের অধিকার এবং মানুষের মর্যাদা রক্ষায় আপস করতে পারি না। আফগান নারীদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং অঙ্গীকার রক্ষায় এখন সময় এসেছে। সেসব গুরুত্বপূর্ণ অধিকারের একটি হলো শিক্ষার অধিকার।’
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে আফগান নারী এবং তরুণীদের অধিকার রক্ষায় অঙ্গীকার করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা। যদিও তারা সেটি কীভাবে করবেন তা এখনো পরিষ্কার নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোটের অভিযানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার ২০ বছর পর গত আগস্টে তালেবান ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসায় দেশটিতে নারীদের অধিকার নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
তালেবান নেতারা বলছেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালের শাসনের পর থেকে তারা পাল্টে গেছেন। ওই সময় আফগান নারীরা পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্য ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে পারতেন না।
গত সপ্তাহে উচ্চ-মাধ্যমিক স্কুল ছাত্রদের জন্য খুলে দিলেও এখনো মেয়েদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি তালেবান। যে কারণে এবারে সংগঠনটি দেশটির নারীদের প্রতি কতটা সহনশীল হবে, সেটি নিয়ে সংশয় রয়েছে।