ইরাকে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত অন্তত ৪০
ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়াসহ দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে নাসিরিয়ার একটি সেতু অবরুদ্ধ করে রাখা বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাদের গুলিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হন। সহিংসতায় আরো শতাধিক ইরাকি আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, রাজধানী বাগদাদের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আরো অন্তত পাঁচজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে চলমান গণবিক্ষোভের পর বাগদাদে ইরানি কনস্যুলেট জ্বালিয়ে দেওয়ার পর সহিংসতা আরো বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নাসিরিয়ার একটি ও বাগদাদের আহরার সেতু অবরুদ্ধ করে রাখা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। গতকালের ওই সংঘর্ষে নাসিরিয়ায় ২৫ জন ও বাগদাদে অন্তত ১০ জন নিহত হন।
এর আগে গত বুধবার ইরাকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ইরানি দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের গুলিতে সেখানে এক বিক্ষোভকারীসহ ৩৫ জন আহত হন। বুধবার রাতে এই ঘটনার পর সেখানে কারফিউ জারি করা হয়।
ইরাকের রাজনীতিতে ইরানসহ বেশ কিছু দেশের নাক গলানোর প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটায় বিক্ষোভকারীরা। ইরানি দূতাবাসের বাইরে থেকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার একপর্যায়ে তারা ভেতরে ঢুকে পড়ে। পুলিশ তাদের দমন করতে চাইলে ইরানি পতাকায়ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।
বৃহস্পতিবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনাকে ২০০৩ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে উল্লেখ করেছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি। প্রতিবেদন বলছে, অক্টোবরে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯০ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এপি বলছে, বৃহস্পতিবার নিহত হওয়া ৪০ জনের মধ্যে শুধু নাসিরিয়া এলাকাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ বিক্ষোভকারী।