ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র চলে গেছে রাশিয়ার হাতে!
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/08/israil-pic.jpg)
ইহুদিবাদী ইসরায়েলের অন্যতম অত্যাধুনিক বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার হাতে চলে গেছে। আর এতে আতঙ্কে পড়েছে তেল আবিব। এটি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ডেভিড শ্লিং গোলন্দাজ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত।
ইসরায়েলি দৈনিক টাইমস ইসরায়েলের খবরে আরো বলা হয়েছে, এ ক্ষেপণাস্ত্র হাতিয়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে একে ঠেকানোর মতো পাল্টা ব্যবস্থা হয়তো দ্রুত খুঁজে পাবে রাশিয়া। এমনকি পাল্টা এ ব্যবস্থা পরে অন্যদের কাছেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
রুশ নির্মিত সিরিয়ার রকেট ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ভেতরে গত বছরের জুলাই মাসে ঢুকছে বলে সন্দেহে করে তা ঠেকানোর জন্য এ ধরনের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। কিন্তু কার্যত সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে ঢোকেনি। সে সময়ে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী তড়িঘড়ি একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে নিজেরাই ধ্বংস করে দিতে পারলেও অপরটি অক্ষত অবস্থায় সিরিয়ার ভূখণ্ডে গিয়ে পড়ে।
চীনা সংবাদ সংস্থা এসআইএনএ জানিয়েছে, সিরীয় বাহিনী এ ক্ষেপণাস্ত্রকে সংগ্রহ করে পরে তা রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছে। অতি সম্প্রতি এটি হস্তান্তর করা হয় বলেও ওই খবরে উল্লেখ করা হয়।
মধ্যম পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ডেভিড শ্লিং যৌথভাবে তৈরি করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের কোম্পানি র্যাফেল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস এবং মার্কিন রেথন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকানোর জন্য এটি মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১৭ সালে প্রথম এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা পায় ইসরায়লি বাহিনী। এ ছাড়া মনে করা হয় যে গত বছরের জুলাই মাসেই এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রথম ব্যবহার করেছিল ইসরায়েল।