ইয়েমেনে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে হুতি বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে নিহত ৫০
ইয়েমেনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ আল বায়দায় সৌদি নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী ও ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের মোট ৫০ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা।
এএফপিকে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বুধবার হুতি বিদ্রোহীদের একটি দল আল বায়দায় প্রবেশ করেছিল। সেখানে যৌথ বাহিনীর সেনা সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘাত হয়েছে এবং সেই সংঘাতে একজন কর্নেলসহ ২০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।’
‘হুতিদের তরফেও প্রাণহানি হয়েছে। আমরা যতদূর জেনেছি, ৩০ জন বিদ্রোহী নিহত হয়েছে,’ বলেন ওই কর্মকর্তা।
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চল দখলে নেওয়ার পর এবার দেশটির মধ্যাঞ্চলের দখল নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। পাশাপাশি দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় মারিব শহর, যেটি যৌথ বাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি এবং এখন পর্যন্ত হুতিদের দখলে আসেনি, সেই শহরটি করায়ত্ত করতেও জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে আছে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল দখল করে নিয়েছে হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ওই অঞ্চলের একমাত্র শহর মারিব, যার দখল এখনও নিতে পারেনি তারা।
গত ফেব্রুয়ারিতে একবার মারিব দখলে অভিযান চালিয়েছিল হুতিরা, কিন্তু সেবার বিপুলসংখ্যক যোদ্ধার প্রাণহানি হওয়ায় কয়েক মাস স্থগিত ছিল তাদের সেই শহর দখলের অভিযান।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের মারিবে অভ্যন্তরীণ বাস্ত্যুচুত হয়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ। এই মানুষরাই নতুন সংঘাতের কেন্দ্রে চলে এসেছেন।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুতি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।