ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধমূলক হামলা বন্ধ করতে হবে : খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বলেছেন, ইয়েমেনে তেহরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণঘাতি হামলা একটি অপরাধ এবং তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। খবর এএফপির।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে মার্কিন ও তার মিত্রদের জাহাজগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করতে থাকে। এই হামলা গত জানুয়ারিতে গাজার যুদ্ধবিরতি নাগাদ চলতে থাকে।
তবে গত সপ্তাহে হুতি বিদ্রোহীরা হুমকি দেয় যে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে সাহায্যপণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার কারণে তারা নতুন করে ইসরায়েলি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করতে শুরু করবে। আর এই হুমকির কারণেই ইয়েমেনে শুরু হয় মার্কিন হামলা। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পরপর এই প্রথম সেখানে সরাসরি হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ভিডিওতে খামেনি বলেন, ‘ইয়েমেনের সাধারণ বেসামরিক নাগরিকের ওপর মার্কিন হামলা এক ধরনের অপরাধ এবং তা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ইয়েমেনে পরিচালিত হামলায় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় হুতি কর্মকর্তা নিহত হয়েছে। তবে হুতিদের পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্কিন হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও শতাধিক লোক।
ইয়েমেনে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছে ইরান এবং আজ বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার পাশাপাশি গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে যুদ্ধাপরাধের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আজ প্রকাশিত ভিডিওতে আয়াতুল্লাহ খামেনি গাজায় ইসরায়েলের হামলাকে মরণঘাতি অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হামলার দায় বহন করে।
গাজার বেসামরিক নাগরিকদের প্রতিরোধ সংস্থা গতকাল বুধবার জানায়, এই সপ্তাহে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে নতুন করে চালানো ব্যাপক বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪৭০ জন লোক নিহত হয়েছে।