চাঁদে যেতে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন জাপানি ধনকুবের, জুড়ে দিয়েছেন শর্ত
চাঁদে যাওয়ার জন্য জীবনসঙ্গীর খোঁজ করছেন জাপানের ধনকুবের ইউসাকু মাইজাওয়া। জাপানি টেলিভিশন অ্যাবেমা টিভির জন্য ‘ফুল মুন লাভারস’ নামে নতুন একটি তথ্যচিত্র বানাতে ২০২৩ সালে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমানোর কথা মাইজাওয়ার। আর এ জন্যই জীবনসঙ্গীর খোঁজ করছেন তিনি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি অ্যাবেমা টিভির ওয়েবসাইটে মাইজাওয়া লেখেন, ‘একাকিত্ব ও শূন্যতা ধীরে ধীরে আমাকে গ্রাস করে চলছে। এ ব্যাপারে একজন নারীকে ভালোবাসার কথা ভাবছি।’
আর এ জন্য জীবনসঙ্গীকে কেমন হতে হবে, এ ব্যাপারে রীতিমতো কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছেন তিনি। শর্তগুলোর সঙ্গে যদি কোনো নারীর জীবনাচরণ মিলে যায়, তাহলে তিনি মাইজাওয়ার জীবনসঙ্গী হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
শর্তগুলোতে বলা হয়েছে, ওই নারীকে ২০ বছর বা এর বেশি বয়সী হতে হবে। ব্যক্তিত্ব উজ্জ্বল ও সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। মহাকাশে যাওয়ার জন্য আগ্রহী এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সম্পূর্ণভাবে জীবনকে উপভোগ করতে হবে। এমন একজন হতে হবে, যিনি বিশ্বশান্তি চান।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, আবেদন করা যাবে আগামী ১৭ জানুয়ারি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা পর্যন্ত। ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি আবেদনকারীদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে বাছাই করা হবে। এরপর দেখা-সাক্ষাৎ শেষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে মার্চের শেষে।
মাইজাওয়া বলেন, ‘নিশ্চিত করে বলতে পারি, অর্থবিত্ত, সামাজিক অবস্থান ও খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি আমি। তবে এখন নতুন করে জীবন শুরু করছি। আমার বয়স ৪৪। একাকিত্ব ও শূন্যতা ধীরে ধীরে আমাকে গ্রাস করতে শুরু করেছে। এ জন্য একজন নারীকে ভালোবাসার কথা ভাবছি।’
চাঁদে পাড়ি দেওয়ার ক্ষেত্রে ‘ডিয়ার মুন’ নামের এই প্রজেক্টে জীবনসঙ্গীর পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন শিল্পীকেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই ধনকুবেরের।
এর আগে মাইজাওয়ার সঙ্গে জাপানি অভিনেত্রী আয়ামি গোরিকির দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
জাপানি অনলাইনভিত্তিক পোশাক বিক্রয় প্রতিষ্ঠান জোজো ইনকের প্রতিষ্ঠাতা মাইজাওয়া ফ্যাশন দুনিয়ায় এরই মধ্যে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। ধারণা করা হয়, তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, যার বেশিরভাগই তিনি শিল্পের কাজে ব্যয় করেছেন।
গত বছর শেষে আরেক বিখ্যাত বিলিওনেয়ার এলন মাস্কের মালিকানাধীন সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে চাঁদের চারপাশে ঘোরার জন্য প্রথম বেসামরিক যাত্রী হিসেবে আরো বেশি পরিচিত হন মাইজাওয়া।