জাতীয় সংলাপের প্রস্তাব শাহবাজের, পিটিআইর নাকচ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল রোববার জাতীয় সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘নিজেদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে চিন্তা করা উচিত এবং আমাদের পছন্দ অপছন্দের চেয়ে জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ পাকিস্তানের দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল অনলাইনের প্রতিবেদনে আজ সোমবার এমনটি বলা হয়।
শাহবাজ শরিফের এমন বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর সংলাপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল।
পিটিআইর পক্ষ থেকে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে সংলাপ হলে তার ফল দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক খাত পাবে না, বরং এর ফল পাবে মাকসুদ চাপরাশি।
শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘পাকিস্তানকে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই, তাহলে দেশের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য সংলাপের আয়োজন করতে হবে, আমরা এটি করবো। পাকিস্তানের অগ্রগতির জন্য আমাদের ইগোকে হত্যা করতে হবে। সবাইকে একতাবদ্ধ হতে হবে।’
লাহোরের জুবিলি টাউনে ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট সিন্ধু হসপিটালের প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পের অগ্রগতির প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। সরকারের কোনো পরিবর্তন দেশের অগ্রগতিতে প্রভাব ফেলতে পারে না।’
পিটিআইর কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক ফারুখ হাবিব এক ভিডিওবার্তায় বলেন, বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য জাতীয় সংলাপের প্রস্তাবনা আনা হচ্ছে। ক্ষমতায় আসার ৫০ দিনের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।’
পিটিআই নেতা বলেন, ‘অর্থনীতির পুনরুদ্ধার না তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার। তারা আবার অদ্ভুত অদ্ভুত কথাও ছড়াচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ হলে তাতে দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনীতি কোনোভাবেই লাভবান হবে না, বরং লাভবান হবেন মাকসুদ চাপরাশি।’
মাত্র ২৫ হাজার রুপি বেতনের চাকরি থেকে বিলিয়নিয়ারে পরিণত হওয়া মাকসুদ চাপরাশি এখনকার পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে অন্যতম উচ্চারিত নাম। তাকে শাহবাজ শরিফের পক্ষের লোক মনে করা হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।