ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার ব্যবহার করে কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়াই তাঁর পূর্বসূরীর অভিবাসন নীতি বাতিল করার আদেশে দ্বিতীয় দফায় সই করেছেন। তবে এসব আদেশ স্থায়ীভাবে কার্যকর হতে কংগ্রেসের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এ খবর জানিয়েছে।
এপির খবরে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবারের নির্বাহী আদেশের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে জো বাইডেন অভিবাসন প্রত্যাশী পারিবারের সদস্যদের পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করা, সীমান্ত সুরক্ষা এবং আইনি অভিবাসনের বিষয়ে মোট নয়টি নির্বাহী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বাইডেন প্রস্তাবিত আইন অনুসারে দেশটিতে থাকা আনুমানিক এক কোটি ১০ লাখ অভিবাসীকে আইনি মর্যাদা ও নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন রোধে নেওয়া আইনি এবং অবৈধ পদক্ষেপের ব্যাপক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছেন বাইডেন।
কংগ্রেসের কাছে পাঠানো অভিবাসন প্রস্তাব নিয়ে আইন প্রণেতারা দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থায় রয়েছেন। তবে, কংগ্রেস থেকে যথেষ্ট সমর্থন না পেলে এ নিয়ে বাইডেনকে ক্ষমতায় থাকার পুরো সময়টাতে কাজ করতে হতে পারে।
বাইডেন এরই মধ্যে ট্রাম্পের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ বাতিল করে দিয়েছেন এবং পরবর্তী কয়েক মাসের নীতিগত পর্যালোচনা পাওয়া ফলাফলের ওপর নির্ভর করে আরো সুদূরপ্রসারী পুনর্বিবেচনার ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
আদেশ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাইডেন বলেছেন, ‘আমি কোনো নতুন আইন তৈরি করছি না, খারাপ নীতিগুলো বাদ দিচ্ছি।’
এদিকে গত মঙ্গলবার সিনেটের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পরে অভ্যন্তরীন নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়া আলেজান্দ্রো মায়োরকাস অভিবাসন প্রত্যাশী পরিবারের সদস্যদের বিচ্ছিন্ন করা বিষয়ক ইস্যুতে মা-বাবা ও শিশুদের আবারও একসঙ্গে করার বিষয়ে কাজ করার জন্য গঠিত টাস্কফোর্সের নেতৃত্ব দেবেন। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শিশুকে আলাদা করা হয়েছিল আদালতের নথিতে দেখা গেছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ শিশুর মা-বাবাকে এখনো খুঁজে পায়নি আদালতের নিয়োগ করা কমিটি।
বাইডেন বলেছেন, ‘আমরা আগের প্রশাসনের নৈতিক ও জাতীয় লজ্জা ঘোচানোর কাজ করতে যাচ্ছি।’
এপির খবরে বলা হয়েছে, সদস্যেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আইনি অবস্থানের সম্ভাবনার বিষয়ে কাজ করবে।
পরিবারগুলোকে পুনরায় একত্রিত করার বিষয়ে মামলা করা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে থাকা হাজার হাজার পরিবারের সবাইকে আইনি মর্যাদা দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ে পরিবার ও আইনজীবীদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চেয়েছে।
সাউদার্ন প্রোভার্টি ল সেন্টার অ্যাকশন ফান্ডের পলিসি কাউন্সিলর কেলি গার্সিয়া বলেন, বাইডেনর সই করা আদেশগুলো উৎসাহজনক, তবে নির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবে ‘অভিবাসী সম্প্রদায়গুলো এ থেকে শিগগিরই কেনো সুবিধা পাবেন না।’