ট্রাম্পের অভিশংসনের বিতর্কে ছিল সেই শিশুটিও!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে চলছিল বিতর্ক। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের তুমুল বির্তকের মধ্যমণি একজনই; তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের কাছে ট্রাম্প যতটাই ইতিবাচক, তেমনি ডেমোক্র্যাটদের কাছে তিনি ‘বিশ্বাসঘাতক।’ বিতর্কের এমন পরিবেশে আলোচনায় ছিল হন্ডুরাসের দুই বছর বয়সি শিশুটিও।
গতবছর টেক্সাসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ‘ধরা’ পড়ে ওই শিশুটির পরিবার। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে অনেকের সঙ্গে শিশুটির পরিবারকেও আটক করে দেশটির পুলিশ। এরপর শিশুটির মাকে আটক করা হয়। শিশুটিকে বিচ্ছিন্ন করা হয় তার মায়ের কাছ থেকে। সবকিছুই হয় অভিবাসী বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জিরো টলারেন্সে’র কারণে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
সিএনএন জানায়, সেই টেক্সাসেরই ডেমোক্র্যাট সদস্য আল গ্রিন কংগ্রেসে হাজির হয়েছিলেন শিশুটির সেই বিখ্যাত ছবিটি নিয়ে। আল গ্রিন যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন ছবিটি তাঁর পাশেই ছিল। সেখানে দেখা যায়, মায়ের খোঁজে শিশুটি কাঁদছে। পাশেই একটি গাড়ি ও দুজন মানুষের পা দেখা যাচ্ছে। ছবিটির ওপরে লেখা আছে ‘ইমপিচ নাও।’
আল গ্রিন ছবিটি দেখিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে বলেন। ট্রাম্পের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প আইনের উর্ধ্বে নন।’ তিনি বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অভিশংসনের এই বৈধ প্রক্রিয়াকে বাধা দেন, তাহলে বলব তিনি আইনের উর্ধ্বে নন। আইনের বাইরে কাউকে আমরা মেনে নেব না। গণতন্ত্রের নামে অনেকেই দুর্ভোগে আছেন। আমি অভিশংসনের পক্ষে।’
হন্ডুরাসের সেই শিশুটির কাছ থেকে তার মাকে বেশ কয়েকদিনের জন্য বিচ্ছিন্ন রাখে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। প্রায় দুই হাজার পরিবারকে এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় ওই সময়। বিষয়টি নিয়ে সারাবিশ্বে সমালোচনার শিকার হন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
টাইম ম্যাগাজিন তাদের ২০০৮ সালের জুলাই মাসের সংখ্যাটির কভার ফটোটি সেই শিশুটিকে দিয়ে সাজায়। সেখানে দেখা যায় কান্নারত শিশুটির পাশে দাঁড়িয়ে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে লেখা, ‘আমেরিকায় স্বাগতম।’