ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র সিনেটে যাচ্ছে, বিচার শুরু এখনই নয়
মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় অভিশংসন বিচারের প্রক্রিয়া এই মাসে শুরু হচ্ছে না। তবে, কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ‘বিদ্রোহে উসকানির’ অভিযোগে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে পাস হওয়া অভিশংসন প্রস্তাবে আনা অভিযোগ আগামী সোমবার সিনেটে পাঠাবে হাউসের ডেমোক্র্যাটরা। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির আগে সিনেটে ট্রাম্পের অভিশংসনের বিচারকার্য শুরু না করতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানেরা। সে অনুযায়ী, ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিনেটে বিচারের শুনানি শুরু হবে না এবং সে পর্যন্ত প্রস্তুতির সময় পাবেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা।
শীর্ষস্থানীয় ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার গতকাল শুক্রবার বলেছেন, আগামী সোমবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস অভিশংসন প্রস্তাব সিনেটে পাঠাতে পারে।
অন্যদিকে, শীর্ষস্থানীয় রিপাবলিকান সিনেটর মিচ ম্যাককোনেলের অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চাক শুমার বিচারপূর্বকালীন সময় বাড়ানোর আহ্বানে সাড়া দেওয়ায় খুশি হয়েছেন মিচ ম্যাককনেল।
ম্যাককনেলের বিবৃতিতে বলা হয়, ৯ ফেব্রুয়ারি সিনেট বিচারের শুনানি শুরু করা যেতে পারে।
গত ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনে কংগ্রেস ভবনে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা ও বাইডেনের বিজয় প্রত্যয়নের অনুষ্ঠানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ট্রাম্প সমর্থকরা। এতে এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন নিহত হন।
এ ঘটনায় ট্রাম্প উসকানি দিয়েছেন বলে অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। ভোটাভুটিতে তা পাস হয়। এরই মধ্যে ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হয়। এখন রীতি অনুযায়ী নিম্নকক্ষে পাস হওয়া অভিশংসনের বিচার হবে সিনেটে। এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট ক্ষমতা ছাড়ার পরও অভিশংসন বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।
এর আগে ২০১৯ সালের শেষ দিকে প্রথমবার অভিশংসনের মুখোমুখি হন ট্রাম্প। সে যাত্রায় ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ হাউসে পাস হলেও রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে গিয়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন তিনি।
অভিশংসনের মূল উদ্দেশ্য থাকে ক্ষমতাচ্যুত করা। ট্রাম্প এমনিতেই ক্ষমতার বাইরে। ফলে সিনেটের বিচারে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি পরবর্তীতে আর কখনো প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে পারবেন না। এর আগে ট্রাম্প ইঙ্গিতে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারেন তিনি।