থাইল্যান্ডের ডুবে যাওয়া যুদ্ধজাহাজের ৬ নাবিকের মরদেহ উদ্ধার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/12/21/thailand.jpg)
ঝড়ের কবলে পড়ে থাইল্যান্ডের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে ডুবে যাওয়া যুদ্ধজাহাজ এইচটিএমএস সুখোথাই-এর ছয় নাবিকের মৃতদেহ মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার রাতে ঝড়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর ১০৫ জন ক্রু নিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়।
উদ্ধারকারী দলগুলো এখন পর্যন্ত ৭৬ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, যার মধ্যে দুই রাত সমুদ্রে কাটানোর পর মঙ্গলবার জীবিত উদ্ধার হওয়া এক নাবিকও আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
জাহাজটির প্রায় এক তৃতীয়াংশ এখনও নিখোঁজ। ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধারের পর এখনো নিখোঁজ আরো ২৩ নাবিকের খোঁজে থাইল্যান্ড উপসাগরে ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন অনুসন্ধান কাজ চলছে। থাই নৌ ও বিমানবাহিনীর কয়েকশ সদস্যের পাশাপাশি মঙ্গলবার নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ ও একাধিক হেলিকপ্টারও উদ্ধার কাজে মোতায়েন করা হয়।
দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল চোনলাথিস নাভানুগ্রহ বলেন, ‘জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ৪১ ঘণ্টা পর আমরা জীবিত একজনকে উদ্ধার করেছি। তাই আমাদের বিশ্বাস, সেখানে এখনো জীবিত মানুষ আছেন। আমরা উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাব।’
এর আগে নৌবাহিনীর এক কমান্ডার বলেছিলেন, সমুদ্রে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধারে হাতে সর্বোচ্চ দুই দিনের মতো সময় আছে।
‘লাইফ জ্যাকেট, বয়া এবং তাদের (নাবিক) ভেসে থাকার কৌশল আমাদেরকে তাদের জীবন বাঁচাতে ৪৮ ঘণ্টার মতো সময় দিচ্ছে। তাই মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় আছে। তাদেরকে উদ্ধারে আমরা সাধ্যমতো সব কিছু করবো,’ বলেছিলেন ভাইস অ্যাডমিরাল পিচাই লোরচুসাকুল।
তার ওই বক্তব্যের পর একাধিক ক্লান্ত ক্রু এমনকী কাউকে কাউকে অচেতন অবস্থায়ও উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়া নাবিক একটি বয়া ধরে ভাসছিলেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন ক্যাপ্টেন কোরাউয়ি-পাপারউইত। তিনি বলেন, ‘উদ্ধার ওই ব্যক্তির জ্ঞান আছে। তিনি মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে সমুদ্রের পানি লাগায় তার চোখে জ্বালাপোড়া হচ্ছিল।’
বেশকিছু নাবিককে একটি ভেলা থেকেও উদ্ধার করা হয়; ওই নাবিকরা ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে লাফিয়ে ভেলায় উঠে পড়েছিলেন।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2022/12/21/thailand-capture.jpg)
৭৬ মিটার লম্বা কর্ভেট এইচটিএমএস সুখোথাই দক্ষিণপূর্ব থাইল্যান্ডের পূর্ব অংশে তার নিয়মিত টহলের দ্বিতীয় দিন রোববার রাতে ওই ঝড়ের কবলে পড়ে। ঝড়ের মধ্যে পানি জাহাজের হালে এবং পরে বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণে রুমে ঢুকে পড়লে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে যায়।
খবর পেয়ে নৌবাহিনীর আরও কয়েকটি জাহাজ ছুটে গেলেও এইচটিএমএস সুখোথাই পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার আগে কেবল এইচটিএমএস ক্রাবুরি ফ্রিগেটই তার কাছে পৌঁছাতে পারে।