দক্ষিণ কোরিয়া সফরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/05/07/korea-japan-pm-.jpg)
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আজ রোববার (৭ মে) দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। সিউল ও টোকিওর ‘শাটল কূটনীতি’ পুনরায় শুরু করা এবং পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান পরমাণু হুমকির মুখে দুদেশের সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টার প্রেক্ষাপটে কিশিদার সফরটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কিশিদাকে বহনকারী বিমানটি রোববার (৭ মে) সিউল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত এক দশকে সিউলে জাপানের কোনো নেতার এটি প্রথম দ্বিপাক্ষিক সরকারি সফর। বিমানবন্দরে পৌঁছালে দেশটির কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।
দিনশেষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইউলের সঙ্গে তার গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী এ দুদেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে ঐতিহাসিক কিছু কারণে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে তিক্ততাও রয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপে ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত ঔপনিবেশিক দখলদারিত্বের সময়ে জাপান দেশটির ওপর যৌন দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করাসহ নানান ধরনের নৃশংসতা চালায়।
বিশেষ করে যুদ্ধকালীন যৌনদাসীদের ব্যবহার, যাদের ‘কমফোর্ট উইমেন’ বলা হয় এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ জাপানের ৩৫ বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের সময় সংঘটিত নৃশংসতা উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত জাপানি সংস্থাগুলোকে জোরপূর্বক শ্রমের শিকার ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে।
এ প্রেক্ষাপটে গতবছর নির্বাচনের পর ইয়ন সুক ইউল স্পষ্ট করে বলেন, জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে তিনি অগ্রাধিকার দেবেন।
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার প্রাক্কালে কিশিদাও বলেন, তথাকথিত ‘শাটল কূটনীতি’ পুনরায় শুরুর জন্যে তারা উভয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আস্থার সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি ইয়নের সঙ্গে সততার মতবিনিময়ে আগ্রহী।