দাবানল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। গতকাল রোববার এবিসি টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে আরো কিছু উদ্যোগ নিলে হয়তো দাবানল ভালোভাবে সামাল দেওয়া যেত।’ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এ সময় দাবানল নিয়ন্ত্রণে তৎপরতার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি রয়্যাল কমিশন রিভিউ বা সরকারি তদন্ত কমিটি গঠনের করার কথাও জানান তিনি। সাক্ষাৎকারে দাবানল সামলাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ওপর যে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা স্বীকার করে স্কট মরিসন বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের আরো বেশি সরাসরি ভূমিকা নেওয়ার নতুন তাগিদ সৃষ্টি হয়েছে।’
অস্ট্রেলিয়ায় গত সেপ্টেম্বর থেকে চলতে থাকা দাবানল নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সরকারি তৎপরতা না থাকা এবং জলবায়ু নীতির কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মরিসন। আর এই সমালোচনার মধ্যেই তিনি ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিলেন।
এর আগে গত মাসে দাবানলের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই হাইতিতে অবকাশযাপন করতে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন মরিসন। এ জন্য ওই যাত্রাটি সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সমালোচনার মুখে পড়ে স্কট মরিসনের সরকার। এ ক্ষেত্রে তিনি বলেন, ‘আমরা তীব্র গরম ও দীর্ঘ সময়ের গ্রীষ্ম অতিবাহিত করি। এটি অবশ্যই জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য হয়েছে।’ এ জন্য বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানান তিনি।
এরই মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দাবানলে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৩ লাখ হেক্টর এলাকা। নষ্ট হয়েছে অসংখ্য জমিজমা, বন-জঙ্গল ও ঘরবাড়ি। তবে সব ছাপিয়ে যে বিষয়টি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে তা হলো, এই দাবানলে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ কোটির বেশি পশুপাখি ও সরীসৃপ মারা গেছে। এমনকি বেশ কয়েকটি প্রজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন পরিবেশবিদরা।