ধনী দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতিতে বাধ্য করা কঠিন হবে
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সতর্ক করে বলেছেন, ধনী দেশগুলোকে চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘ জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতি পূরণে বাধ্য করা কঠিন হবে। এ বিষয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের আজ সোমবার অনুষ্ঠাতব্য বৈঠকের আগে বরিস জনসন এ কথা স্বীকার করেন। সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
কোপেনহেগেনে ২০০৯ সালের জলবায়ু সম্মেলনে ধনী দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২০ সাল থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল যোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা বলছে—এ বিষয়ে অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে বরিস জনসন রোববার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক গেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, এ সপ্তাহে সবকিছু করতে গেলে চাপ তৈরি হবে। এটি খুবই কঠিন হবে। তবে, লোকজনকেও বুঝতে হবে—বিশ্বের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নভেম্বরের সম্মেলন নাগাদ প্রতিশ্রুতির ১০ ভাগের ছয় ভাগ পাওয়া যেতে পারে।’
বরিস জনসন আরও বলেন, ‘চীনের দিক থেকে অগ্রগতির সত্যিকার আভাস মিলেছে।’
যদিও নভেম্বরে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলন কপ-২৬-এর সভাপতি অলোক শর্মা রোববার বলেছেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেননি।
সোমবারের বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসেরও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘ জলবায়ু তহবিল থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় অর্থের মূল যোগান আসবে। প্যারিস চুক্তিতে দরিদ্র দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বছরে কোটি কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি জনসন হোয়াইট হাউস সফর করবেন। এ ছাড়া তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন।