ব্রাইটার্সের আয়োজনে আন্তঃপ্রজন্ম জলবায়ু সংলাপ
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় সমস্যা জলবায়ু সংকট। জলবায়ু সুবিচারে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে আন্দোলন। নানা সময়ে দেশের বিভিন্ন সংগঠন সোচ্চার হয়েছে সংকট নিরসনে। সংকট নিরসনে চাই তরুণদের অংশগ্রহণ ও সঠিক ব্যবস্থাপনা। এর জন্য প্রয়োজন অর্থায়ন।
সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে ব্রাইটার্স সোসাইটি অব বাংলাদেশ ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হলো ‘ইন্টারজেনারেশনাল ডায়লগ অন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স : হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড জাস্টিস পার্সপেক্টিভ’—শীর্ষক সংলাপ আলোচনা ও মতবিনিময় সভা। ডেইলি স্টার ভবনে সোমবার (৪ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হয় এটি।
ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমির সঞ্চালনায় আয়োজিত এই আন্তঃপ্রজন্ম সংলাপে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. আতিক রহমান, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টের চিফ এক্সিকিউটিভ মো. শামসুদ্দোহা। পাশাপাশি অনুষ্ঠানের শোভা বাড়ান শিশু-কিশোর-তরুণ উন্নয়নকর্মীসহ কয়েক প্রজন্মের ও বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৫০ জন জলবায়ু সচেতন নাগরিক। সংলাপে স্বাগত বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহীন আনাম।
আয়োজনে বক্তারা জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব আগামী দিনে কতটা ভয়াবহ হতে পারে এবং তা ঠেকাতে করণীয় সম্বন্ধে নিজেদের অভিমত তুলে ধরেন। তুলে ধরেন বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত। তরুণ প্রজন্মের চাওয়া জলবায়ু অর্থায়নের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি জলবায়ু সংকট তৈরি এবং এর প্রভাবে মৌলিক অধিকার হারানো মানুষদের মানবাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও জোর দেন। জলবায়ু খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, স্বচ্ছতা আনা ও সাধারণের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনার বিষয়ে কথা হয়।
অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আজকের সমস্যা, আগামীর ভয়াবহতা। আমাকে যখন যুবদের পক্ষ থেকে এই ধরনের আয়োজনে আমন্ত্রণ জানানো হয় আমি সবসময় তা সাদরে গ্রহণ করি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সময় এখন যুবদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার।’
ড. আতিক রহমান বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেখানে জনগণের কথা সবসময় ফুটে ওঠে না। আমাদেরকই জনগণের হয়ে কথা বলতে হবে।’
ব্রাইটার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক সাইদুর রহমান তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘এই আয়োজনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজন্মের যে সংলাপ হলো, তার মাধ্যমে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের দৃষ্টিভঙ্গিতে জলবায়ু অর্থায়নকে দেখার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।’