পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হেনেছে ‘বুলবুল’, চলছে তাণ্ডব
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/11/09/bulbul.jpg)
পশ্চিমবঙ্গের স্থলভাগে আঘাত হেনেছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। উপগ্রহ চিত্র থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবল বেগে ঝড় বইছে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এলাকায়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বসতবাড়ি। উড়ে গেছে ঘরের চালা। কয়েকটি জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ-পালা।
পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের খেজুরি, নন্দীগ্রাম, নয়াচর ব্লকসহ একাধিক এলাকা বুলবুলের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে পরিস্থিতি এখনো আয়ত্ত্বের মধ্যে রয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসন দাবি করেছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সুন্দরবন ও আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জ, ঝড়খালি ও সন্দেশখালি এলাকায় ঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
উপকূলবর্তী এলাকা থেকে এরই মধ্যে প্রায় দেড় লাখের বেশি মানুষকে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ৫৫ হাজার, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৩ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৫ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১ হাজার, হুগলীতে ৯ হাজার ৪২৬ জন, হাওড়ায় ১০ হাজার ৪০০ জন ও কলকাতায় ২ হাজার ৫০০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। সেখান থেকেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে গতকাল থেকেই বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবন। সর্বশেষ জানা যাচ্ছে এরই মধ্যে প্রবল শক্তি বাড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গাসাগরে ঢুকে পড়েছে বুলবুল। এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। ঘুর্নিঝড় বুলবুলের কারনে এদিন সকালেই মোট ২৩টি বিমান বাতিল করেছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা। সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। বেশ কয়েকটি দূর পাল্লার ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।