পাঁচ ব্রিটিশ এমপিসহ ৯ নাগরিকের ওপর চীনের নিষেধাজ্ঞা
চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এবার পাঁচ এমপিসহ মোট নয়জন ব্রিটিশ নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মিথ্যা ও ভুল তথ্য’ ছড়ানোর কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
আজ শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য জিনজিয়াংয়ের তথাকথিক মানবাধিকারের ইস্যু তুলে একতরফাভাবে চীনের নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মিথ্যা ও ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে যা আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণকারী মৌলিক নিয়মগুলোর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর ফলে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ ও চীন-যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে হেয় করা হচ্ছে।
চীনের জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর যুক্তরাজ্যও নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়। যুক্তরাজ্যের পর কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রও চীনের ওই কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর জের ধরে চীনও ব্রিটিশ নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল। যাদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে তাঁরা হলেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি টম টুগেন্ডহ্যাট, ইয়াইন ডানকান স্মিথ, নিল ও’ব্রেইন, টিম লফটন ও নুসরাত গনি। এ ছাড়া হাউস অব লর্ডসের দুই সদস্য ডেভিড অ্যাল্টন ও হেলেনা কেনেডি এবং শিক্ষাবিদ জোয়ান স্মিথ ফিনলে ও ব্যারিস্টার জিওফ্রে নাইস। তাঁরা সবাই যুক্তরাজ্যে চীনের সবচেয়ে বড় সমালোচনাকারী হিসেবে পরিচিত।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চীন, হংকং ও ম্যাকাওতে তাঁদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনে তাঁদের কোনো সম্পত্তি থেকে থাকলেও তা স্থগিত করা হবে ও চীনের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান তাঁদের সঙ্গে কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে পারবে না।