প্যাগাসাস মামলা শুনবেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
আলোচিত প্যাগাসাস নজরদারি মামলা শুনতে রাজি হয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা আজ শুক্রবার জানান, আগামী সপ্তাহে তিনি এ সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি শুনবেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও ইন্ডিয়া টুডের।
ইসরায়েলি সংস্থা এনএসওর তৈরি প্যাগাসাস প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন পেশার মানুষের ওপর ফোনে আড়ি পাতার খবর প্রকাশিত হয়েছে। নানা দেশে এ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে ভারত সরকার এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলেনি।
এ নিয়ে দেশটির সংসদও উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে বিশিষ্ট সাংবাদিক এন রাম ও শশী কুমার সুপ্রিম কোর্টে এক জনস্বার্থ মামলা করেন। প্রধান বিচারপতি শুক্রবার জানান, আগামী সপ্তাহে ওই মামলার শুনানি হবে।
কংগ্রেসের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতা ও আইনজীবী কপিল সিবাল ও অভিষেক মনু সিংভি গতকাল প্রধান বিচারপতির এজলাসে এই মামলা দ্রুত শোনার আবেদন জানান। তাঁরা বলেন, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু দেশ নয়, বিদেশেও এই খবর চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
প্রযুক্তি ব্যবহার করে নাগরিক অধিকার হরণ করা হচ্ছে, যার আওতায় পড়েছেন বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক, এমনকি বিচারপতিরাও। তা ছাড়া দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নটিও এর সঙ্গে জড়িত। অতএব দ্রুত এই মামলা শোনা হোক।
প্যাগাসাসকাণ্ডের তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠনের দাবি জানানোর পাশাপাশি আবেদনকারীরা বলেছেন, ভারত সরকার বা তার কোনো সংস্থা নাগরিকদের ফোনে নজরদারি চালানোর জন্য প্যাগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করছে কি না, তা জানাতে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিন।
ভারতীয় সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরুর ঠিক আগের দিন এই নজরদারির খবর প্রকাশিত হয়। পৃথিবীর ১৬টি দেশের সাংবাদিকদের উদ্যোগে এই প্রতিবেদনে জানা যায়, ভারতসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র এই প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, সমাজকর্মী, গণআন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মানুষ, পেশাজীবী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, সাবেক নির্বাচন কমিশনারসহ বিচারপতিদের ফোনেও এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আড়ি পাতার ঘটনা ঘটেছে। সেই থেকে সংসদ উত্তাল।
তবে, নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ভারতের অগ্রগতি সহ্য করতে পারছে না, এটা তাদের চক্রান্ত। সরকার বেআইনিভাবে কিছু করছে না। তা করা সম্ভবও নয়।