ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ১৪৩, রক্ত ঝরছে পশ্চিম তীরেও
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শনিবার সকালেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা থেকে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা অব্যহত রেখেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কূটনীতিকেরা সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ফিলিস্তিনিরা। এতে অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
এ ছাড়া গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ১৩২ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ শিশু ও ২১ জন নারী। এখন পর্যন্ত ৯৫০ জন আহত হয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চলে একটি হামলায় চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। স্থানীয়রা রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগর থেকে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর জাহাজ থেকেও বোমা ছোড়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি মসজিদ বিধ্বস্ত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবারও সারা দিন গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তারা বলছে, কয়েক কিলোমিটারের সুড়ঙ্গ রয়েছে, যেখানে অস্ত্র প্রস্তুত করে হামাস। সেটি ধ্বংস করে রকেট হামলা বন্ধ করতে এ হামলা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজা থেকে আসা রকেট হামলার কারণে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি শহরে জরুরি সতর্কতামূলক সাইরেন বাজানো হয়। হামাস এ হামলায় দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েলে এ পর্যন্ত একজন ইসরায়েলি সৈন্য, একজন ভারতীয় ও ছয়জন বেসামরিক ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছে।
এদিকে, আগামীকাল রোববার জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের তৃতীয় বৈঠককে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের ইসরায়ে ফিলিস্তিন বিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী হাদি আমর শুক্রবার তেল আবিবের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছেন। তেল আবিবের মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, শান্ত পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে চায় তারা।
গত কয়েকদিনে দক্ষিণ ও মধ্য ইসরায়েল থেকে শুরু করে গাজা সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে তেল আবিব মহানগরী ও বীরসাবা শহরের লোকজন জরুরি সাইরেন শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়াও রেডিও টেলিভিশনে মুহূর্তে মুহূর্তে জরুরি নির্দেশনা প্রচারিত হচ্ছে। মোবাইল ফোনেও রেড অ্যালার্ট জারি করা হচ্ছে।