মালয়েশিয়ায় কোভিড টিকার ডোজ সম্পন্ন করলে চলাচলে শিথিলতা
নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধক টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ যাঁরা সম্পন্ন করেছেন, তাঁদের চলাচলে শিথিলতা আনতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার নারী, পরিবার ও কমিউনিটি উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের একটি অনুষ্ঠান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের ভ্রমণ ও রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। শুধু চলাচলই নয়, টিকার দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরও অনেক শিথিলতা আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমানে মালয়েশিয়ার বৃহত্তর ‘ক্লাং ভ্যালি’ উপত্যকায় ভ্যাকসিন প্রয়োগে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে পুরো দেশের মানুষকে এর আওতায় আনা হবে বলেও জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সারা দেশে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে দিনে সর্বাধিক চার লাখ ৩৪ হাজার ৮২৮ জনকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে এবং এ সংখ্যা সামনের মাস থেকে আরও বাড়বে।
মুহিউদ্দিন ইয়াসিন জানান, মালয়েশিয়াজুড়ে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৪৫টি টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। যা দেশটির জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। এ ছাড়া প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ৮১ লাখ ৪ হাজার ৬৮ জন।
কঠোর থেকে কঠোরতর লকডাউনের পরও কোনোভাবেই করোনা সংক্রমণ কমাতে পারছে না মালয়েশিয়া। তাই সবাইকে টিকা প্রয়োগ করাকে করোনা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে দেখছে দেশটির সরকার।
এদিকে, স্থানীয়দের পাশাপাশি টিকা পেতে শুরু করেছেন প্রবাসীরাও। মাইসেজাহাত্রা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে বিনামূল্যে সহজে টিকা পাচ্ছেন বৈধ এবং কাগজপত্রবিহীন অভিবাসীরাও। দেশটিতে গত বুধবার পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছেন ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৩৪ জন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করেছেন ৩৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ২১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের। সব মিলিয়ে আক্রান্তের মোট সংখ্যা আট লাখ ৮০ হাজার ৭৮২ জন। এখন পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় করোনায় মারা গেছে ছয় হাজার ৬১৩ জন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে সাত লাখ ৬৫ হাজার ৬১৩ জন।