সন্ত্রাস দমনে তালেবানের সঙ্গে কাজ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র : মার্কিন জেনারেল
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া তালেবানকে ‘নির্দয় গোষ্ঠী’ অ্যাখ্যা দিয়ে মার্কিন শীর্ষ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, কট্টরপন্থি গোষ্ঠীটি আদৌ বদলাবে কিনা, তা বোঝা যাচ্ছে না।
জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, তবে এটা ‘সম্ভব’ যে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতে সন্ত্রাস দমন অভিযানে ইসলামপন্থি গোষ্ঠীটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে পারে।
আফগানিস্তানে আক্রমণ চালিয়ে তালেবানকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পর টানা ২০ বছর দেশটিতে অবস্থান করেছে মার্কিন সেনা। মঙ্গলবার সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান হলো।
গত মাসে একের পর এক প্রাদেশিক রাজধানী ও পরে কাবুল দখলে নেওয়া তালেবান এখন আফগানিস্তানের প্রায় পুরো অংশের নিয়ন্ত্রক, শিগগিরই তারা নতুন সরকারের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
আফগানিস্তান থেকে সর্বশেষ সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর প্রথম জনসমক্ষে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় জেনারেল মিলির পাশে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনও ছিলেন।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এ দুজনই আফগানিস্তানে কাজ করা সেনাদের এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেওয়ার কর্মযজ্ঞের প্রশংসা করেছেন।
কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে লোকজনকে সরিয়ে আনতে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অস্টিন বলেন, ‘আমরা তালেবানের সঙ্গে সীমিত কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করেছি, আর সেটি ছিল- যত বেশি সংখ্যক মানুষকে পারা যায় বের করে আনা।’
একই প্রসঙ্গে জেনারেল মার্ক মিলি বলেন, ‘যুদ্ধে আপনি আপনার মিশন ও বাহিনীর ঝুঁকি কমাতে যা যা করা দরকার তা-ই করেন, যা করা প্রয়োজন মনে করেন, তা সবসময় করতে পারেন না।’
ভবিষ্যতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শাখা আইএস-কে’র বিরুদ্ধে অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের সঙ্গে সমন্বয় করে নিচ্ছে, এমনটা দেখা যেতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
কাবুল বিমানবন্দরের কাছে গত সপ্তাহে যে আত্মঘাতী হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আইএস-কে ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
আফগানিস্তানে যতগুলো সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয়, আইএস-কে তাদের মধ্যে সবচেয়ে সহিংস। তালেবানের সঙ্গে তাদের বিরোধও প্রকাশ্য।