সফল করোনা প্রতিষেধকের আশা বাড়ছে
নভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরির দৌড়ে আরো একধাপ এগোলো বৈশ্বিক গবেষণা। এবার শিরোনামে উঠে এসেছে মার্কিন সংস্থা মডার্না ইনকরপোরেটেডের প্রতিষেধকের কথা।
মার্কিন সংস্থা মডার্না ইনকরপোরেটেডের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সফলভাবে করোনাভাইরাস ঠেকাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। মডার্নার প্রতিষেধকটি বর্তমানে শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
এই মুহূর্তে করোনার প্রতিষেধক তৈরির বিশ্বব্যাপী দৌড়ে মর্ডানার ভ্যাকসিনের সাফল্যের বিষয়টি দ্বিতীয় আশা জাগানো খবর। এর আগে বায়োএনটেক ও ফাইজারের প্রতিষেধকের ৯০ শতাংশ সাফল্যের খবর পাওয়া গিয়েছিল। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা পেরোতে পারলে বায়োনটেক-ফাইজার ও মডার্নার দুটি প্রতিষেধকের ছয় কোটি ডোজ যুক্তরাষ্ট্রে জরুরি পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য ডিসেম্বর মাসেই পাওয়া যেতে পারে। এই সংখ্যা আগামী বছরে গিয়ে দাঁড়াবে ১০০ কোটি ডোজে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ৩৩ কোটি জনসংখ্যার প্রয়োজনের চেয়ে বেশি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে মডার্নার প্রেসিডেন্ট স্টিফেন হজ বলেন, ‘কোভিড-১৯ থামাতে পারে এমন প্রতিষেধক আমরা পেতে যাচ্ছি।’
মডার্নার প্রতিষেধকের সাফল্যের ঘোষণা যে পরীক্ষার ফসল, সে পরীক্ষায় মোট ৯৫ জন করোনাভাইরাসের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির ওপর প্রতিষেধকটি ব্যবহৃত হয়। এতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তিদের মধ্যে মাত্র পাঁচজনের মধ্যে সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়।
মডার্নার প্রতিষেধক বায়োনটেক-ফাইজারের প্রতিষেধকের তুলনায় বেশি তাপমাত্রায় রাখা যাবে, ফলে এই প্রতিষেধককে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াটা আরো সহজ হবে বলে মনে করছেন অনেকে।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইলিয়ানর রাইলি বলেন, ‘একটির বেশি কার্যকর প্রতিষেধক পাওয়ার সম্ভাবনা যেহেতু রয়েছে, তাতে করে ২০২১ সালে বর্তমানের চেয়ে কিছুটা বেশি স্বাভাবিক জীবনের দিকে আমরা যেতে পারব বলে আশা করা যাচ্ছে।’
এদিকে, জার্মান পত্রিকা বিল্ড আম জনটাগ জানিয়েছে, আসছে ডিসেম্বর মাস থেকে জার্মানিতে কয়েকশ করোনা প্রতিষেধক প্রদান সেন্টার তৈরির কাজ শুরু করবে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বায়োএনটেক-ফাইজারের প্রতিষেধক তৈরির কাজে প্রাথমিক সাফল্যের খবর প্রকাশ হবার পরই এই কাজের ঘোষণা দিয়েছে জার্মান সরকার।
২০২১ সালে বায়োএনটেক-ফাইজারের প্রতিষেধক প্রদানের কাজ শুরু হবে আশায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন এরই মধ্যে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ কিনতে বায়োনটেক-ফাইজারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।