২০২২ সালে যে ১০ শব্দের ব্যবহার নয়
‘ওয়েইট, হোয়াট?’, ‘নো ওরিস’, ‘অ্যাট দি এন্ড অব দ্য ডে’, ‘দ্যাট বিয়িং সেড’ বা ‘নিউ নরমাল’—চেনাজানা এ শব্দ বা শব্দগুচ্ছ আমরা হরহামেশাই বলি ও শুনি। কিন্তু, আপনাকে যদি বলা হয়—২০২২ সালে এ শব্দগুলো আপনি আর ব্যবহার করতে পারবেন না, তাহলে কি আশ্চর্য হবেন? আশ্চর্য হলেও অবশ্য কিছু করার নেই, কারণ, এমনটাই ঘটেছে।
ব্যাপারটা খোলাসা করা যাক।
বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর ইংরেজি ভাষার অপছন্দের শব্দ ও ব্যাক্যাংশের একটি তালিকা প্রকাশ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের লেক সুপেরিয়র স্টেট ইউনিভার্সিটি। এবারেও ২০২১ সালের শেষ দিনে ওই তালিকাটি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যারয়টি। সে তালিকায় দেখা গেছে, বেশকিছু অতিপরিচিত শব্দ বা বাক্যাংশ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। আর এ তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে—‘ওয়েইট, হোয়াট?’ শব্দযুগল। একজন আপত্তি তুলে বলেছেন, ‘আমি আর অপেক্ষা করতে চাই না।’
এ ছাড়া আরও কিছু শব্দ বা বাক্যাংশ রয়েছে লেক সুপেরিয়র স্টেট ইউনিভার্সিটির নির্বাসিতের তালিকায়—‘দ্যাট বিয়িং সেড’, ‘আস্কি ফর আ ফ্রেন্ড’, ‘সার্কেল ব্যাক’, ‘ডিপ ডাইভ’, ‘ইউ আর অন মিউট’, ও ‘সাপ্লাই চেইন’। গতবছরজুড়ে এসব শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহারকারীরা বলেছেন, গতবছর এসব শব্দ ও বাক্যাংশ তাঁরা এত বেশি ব্যবহার করেছেন যে, এখন আর এগুলো একদম ভালো লাগছে না তাঁদের। ২০২২ সালে তাঁরা এসব শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে চান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে অনলাইনে ইংরেজি ভাষার অপছন্দের শব্দ ও বাক্যাংশ নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এতে সাড়া দিয়ে নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশ এক হাজার ২৫০টির বেশি শব্দ ও বাক্যাংশ জমা দেয়। সেখান থেকে ১০টি শীর্ষবাছাই করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘নিত্যদিনের কথোপকথনে আপনি যেটা বোঝাতে চান, সে অনুযায়ীই শব্দ ও বাক্যাংশ বেছে নেন এবং সেটিই ব্যবহার করেন। এর সহজ কিংবা কঠিন কোনো বিকল্প নেই। তবে, তার পরেও এমন কিছু শব্দ ও বাক্যাংশ থাকে, যেগুলোর বারবার ব্যবহারে বিরক্ত হন অনেকেই। বিরক্তির কারণে সে সব শব্দ ও বাক্যাংশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাঁরা।’