‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা কবুতর' ভারতে আটক
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে একটি ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা’ কবুতরকে পাঞ্জাবে পাঠানকোট থেকে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। কবুতরটিকে এমন একটি সময়ে আটক করা হলো, যার মাত্র দুদিন আগে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা পাঞ্জাব পুলিশকে জম্মু ও পাঠানকোট এলাকায় ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের তৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক করেছিল।
গত বুধবার দুপুরে পাকিস্তান সীমান্তের কাছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের স্থানীয় এক বাসিন্দার হাতে সাদা রঙের কবুতরটি ধরা পড়ে। এর পর তিনি কবুতরটিকে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফাঁড়িটি পাঞ্জাবের রাজধানী অমৃতসর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। কবুতরটির পায়ে সবুজ রঙের একটি রিং পরানো ছিল এবং এর গায়ে লাল কালিতে উর্দু ভাষায় একটি পাকিস্তানি ফোন নম্বর ও নারোয়াল জেলার একটি ঠিকানা লেখা ছিল।
কবুতরটি মানওয়াল গ্রামের রমেশ চন্দ্রের বাড়িতে ধরা পড়ে, যা ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রমেশ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমার ছোট ছেলে প্রথম পায়ে উর্দু চিঠি লেখা কবুতরটিকে দেখে ধরে ফেলে। পরে কবুতরটিকে নিয়ে আমি থানায় দৌড়ে যাই।’
পাঠানকোটের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার রাকেশ কুশাল টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানান, কবুতরটির এক্স-রে করিয়েছে পুলিশ। ওই পরীক্ষায় কিছু পাওয়া যায়নি। তবে কবুতরটিকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
রাকেশ কুশাল আরো জানান, দুই দেশের সীমান্তের পাশের ওই এলাকাটি স্পর্শকাতর বলে সেখানে বার্তাসহ এ ধরনের কবুতর আসার ব্যাপারটি সন্দেহজনক।
এদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ কবুতরটিকে ‘সন্দেহভাজন গোয়েন্দা পাখি’ হিসেবে চিহ্নিত করে স্থানীয় বামিয়াল পুলিশ ফাঁড়িতে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। এ ছাড়া কবুতরটির ব্যাপারে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিএসএফ পারস্পরিক যোগাযোগও করেছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জগজিৎ সিং চাহাল জানান, পাকিস্তান থেকে বিশেষ কোনো বার্তা নিয়ে কবুতরটি ভারতে আসতে পারে। তবে এ রকম কোনো কিছুর প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। কবুতরটিকে চিকিৎসকরা পরীক্ষা করেছেন এবং বর্তমানে পুলিশ পাহারায় একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে।
জগজিৎ সিং আরো জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী কবুতরটিকে দেখার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে দিনে তিনবার তথ্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে।