আফগান নারীদের সঙ্গে তালেবানের বৈঠক
আফগানিস্তানের আইনপ্রণেতা ও শান্তি মধ্যস্থতাকারী নারীদের একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে তালেবান যোদ্ধারা। গতকাল শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এই বৈঠক হয়েছে।
আফগান সরকার ও তালেবানদের বরাত দিয়ে এই ঘটনা জানিয়ে একে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছে বার্তা সংস্থা ভয়েস অব আমেরিকা।
আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নরওয়ের দীর্ঘমেয়াদি প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
যদিও উভয় পক্ষ বলছে, এটি একটি অনানুষ্ঠানিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের বৈঠক ছিল, তবু তালেবানের মতো ইসলামী জঙ্গি সংগঠনের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ; গত পাঁচ বছরে যারা নারীর স্বাধীনতা ও অধিকারকে কঠোরভাবে দমন করে রেখেছিল।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের বরাত দিয়ে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে।
তবে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুজাহিদ আফগান সরকারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘এই আলোচনার মানে বিরোধীপক্ষের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় যোগ দেওয়া নয়।’
মুজাহিদ আরো বলেন, আফগানিস্তানের বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজের সদস্য এবং রাজনীতিবিদদের মতামত জানার জন্যই তাদের সঙ্গে এই ধরনের বৈঠক করা হচ্ছে। এ ছাড়া এসব বৈঠকের মাধ্যমে তালেবানদের ইসলামী দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে আফগানিস্তানের মানুষকে অবহিত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আফগান সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রখ্যাত নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবী ফাওজিয়া কুফি, শুকরিয়া বারাকজাইসহ পাঁচ আফগান নারী সংসদ সদস্য তালেবানদের সঙ্গে ওই বৈঠকে অংশ নেন।
তবে এই বৈঠকে কোনো সরকারি পদক্ষেপ ছিল না বলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, ওই পাঁচ নারী সদস্য স্বাধীন প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁরা সেখানে যাননি।