চার দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না : ভারত
ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) ভি কে সিং বলেছেন, মিয়ানমারে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর হামলা বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ভারত-চীন-বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রশ্নে দিল্লির অবস্থান তুলে ধরে ভারতের পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, পূর্বনীতি চুক্তির অংশ হিসেবে আমাদের মধ্যে যোগাযোগ উন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি নিশ্চিত, যেখানে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেখানকার নিরাপত্তা সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখবে।
এক সংবাদ সম্মেলনের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য জানায় বার্তা সংস্থা বাসস। সংবাদ সম্মেলনে চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অশোক কান্তাও উপস্থিত ছিলেন।
মণিপুরে সাম্প্রতিক এক হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হন। এরপর ৫ জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে ১২ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যা করেছে বলে দাবি করে। এরপর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের ভেতরেও অভিযান চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। গত ৯ জুন মণিপুর রাজ্যের সীমান্তবর্তী মিয়ানমার ভূখণ্ডে চালানো এই অভিযানে ৫০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেন সেনারা।
সংবাদ সম্মেলনে গত সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়েও প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
নরেন্দ্র মোদির সফরের পর নয়াদিল্লি-ঢাকা সম্পর্কের আরো উন্নতি হলে বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) কাঠামোর মধ্যে কলকাতা-ঢাকা অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে কি না- এমন এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত চীনে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত অশোক কান্তা বলেন, ভারত চার জাতির জোটের সুপারিশমালার জন্য অপেক্ষা করছে। তিনি বলেন, চার দেশের জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ (জেএসজি) একটি পরামর্শমালা প্রণয়ন করবে।
একসময়ে জেএসজির সুপারিশমালা গ্রহণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য হিন্দু জানায়, চার দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্যরা জেএসজির অংশ।
ভি কে সিং আরো বলেন, ভারত-চীন সম্পর্ক নয়া অধ্যায়ের সূচনা করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের নেতৃত্ব ব্যাপক আলোচনার পর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন, যে কোনো মূল্যে অবশ্যই তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়ন করবেন।
বর্তমানে তাঁদের মধ্যকার সম্পর্ক, অর্থনৈতিক যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ জন্য জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কোনো ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।