হাতি তুমি কার?
দুটি মাদী হাতির মালিকানা নিয়ে ঝামেলায় আছেন বাংলাদেশ ও ভারতের দুই বাসিন্দা। দুজনই নিজেদের হাতি দুটির মালিক বলে দাবি করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি হাতি দুটিকে চুরি করে ভারতের আসাম রাজ্যের হাইলাকান্দিতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বাংলাদেশের নাগরিক মকলিস রহমান দাবি করেন। তিনি বলেন, পোল আনোয়ার (৪০) ও ফুলকলি (৮) নামের দুটি হাতি তাঁর মৌলভীবাজারের মহিষমারা গ্রাম থেকে চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনার পর ২৮ জানুয়ারি কুলাউড়া থানায় একটি এজাহার (এফআইআর) দায়ের করেন তিনি। এর পরের দিন সীমান্তের ৪০ ও ৪১ নম্বর পিলারে কাঁটাতারের বেড়া ভাঙা অবস্থায় পান, যাতে হাতির পায়ের চিহ্ন ছিল। এ থেকে মনে হয়েছে এগুলোকে ভারতের ভেতর নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মকলিস আরো বলেন, ওই এফআইআর দায়েরের আগে ২২ জানুয়ারি হাতি নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে একটি পতাকা বৈঠক হয়েছে।
এ বিষয়ে হাইলাকান্দির পুলিশ সুপার (এসপি) রাজেন সিং বলেন, হাতিটি নিখোঁজ হওয়ার কয়েক মাস পর গত সোমবার রাতে পুলিশের একটি দল এগুলোকে উদ্ধার করে। তিনি বলেন, তিনজন বাংলাদেশি বৈধ নথিপত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং হাতিগুলোর মালিকানা দাবি করেন। গতকাল মঙ্গলবার হাতিগুলোকে আদালতে উপস্থাপন করা হয় এবং এ বিষয়ে আদালত একটি আদেশ দেন।
রাজেন সিং জানান, হাইলাকান্দির বাসিন্দা মাজমুল ইসলাম বারভূঁইয়াও হাতি দুটির মালিকানা দাবি করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
গতকাল হাইলকান্দির মুখ্য বিচারিক হাকিম তাঁর আদেশে বলেন, যেহেতু দুজন ব্যক্তি হাতিগুলোর মালিকানা দাবি করেছেন, সেহেতু প্রকৃত মালিক চিহ্নিত করতে এ বিষয়ে জোর তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলো।
আদালত আরো বলেন, ‘যেহেতু আবেদনকারী মকলিস রহমান বাংলাদেশের নাগরিক এবং তিনি আজ (মঙ্গলবার) আদালতে মালিকানা দাবি করেছেন, তাই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে হাইলাকান্দির এসপিকে বিষয়টি নিয়ে জোর তদন্তের আদেশ দেওয়া হলো। যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে কথা বলে জব্দ হাতির মালিককে খুঁজে বের করতে হবে। দুজন ব্যক্তিই (মকলিস ও মাজমুল) নিজেদের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।’
আদালতের আদেশে আরো বলা হয়, তদন্তের নিষ্পত্তি এবং বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত হাইলাকান্দির বন বিভাগের হেফাজতে হাতিগুলোকে রাখা হবে। এগুলোর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও খাদ্যের সংস্থানও করবে বন বিভাগ।