এবার ফেসবুক লাইভে মেয়েকে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যা
কিছুদিন আগেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তি ফেসবুক লাইভে এসে খুনের পর ফেরার হয়েছিলেন। পরে নিজেও আত্মহত্যা করেন। সেই রেশ কাটতে-না-কাটতেই এবার থাইল্যান্ডে এক ব্যক্তি ফেসবুক ‘লাইভে’ শিশুকন্যাকে হত্যা করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছেন।
থাই পুলিশ বলছে, ফুকেত শহরে গত সোমবার একটি পরিত্যক্ত হোটেলের ছাদে ২১ বছর বয়স্ক লোকটি তাঁর মেয়েকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেন। তার পর নিজেও ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্লিভল্যান্ডের ৭৪ বছরের বৃদ্ধকে হত্যা করছে এক ব্যক্তি—এমন এক ফুটেজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে অনলাইনে থাকার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাদের নীতি পুনর্বিবেচনার অঙ্গীকার করে। এর পর ১৫ দিন না যেতেই আবার ফেসবুক লাইভে হত্যাকাণ্ড ঘটল।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলেও ফেসবুকে ভিডিওটি দেখা যাচ্ছিল। থাই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁর আত্মীয়স্বজন ওই ফুটেজ দেখে পুলিশকে খবর দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যখন সেখানে পৌঁছায়, তখন আর তাদের বাঁচানো যায়নি।
পরে হাসপাতাল থেকে তাদের লাশ গ্রহণ করে আত্মীয়স্বজন ও মেয়েটির মা। খবরে বলা হয়, লোকটির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঝগড়া হয়েছিল।
থাই মিডিয়ায় এ ঘটনার খবর ব্যাপক প্রচার পায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে এ ঘটনায় ক্রোধ ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। একজন প্রতিনিধি বলেছেন, তাঁরা ঘটনার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসে দুটি মৃত্যুর ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচার করা হয়। এর একটি ছিল শিকাগোতে মাথায় ও ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ একজন লোকের মৃত্যুর দৃশ্য, আর অপরটি ঘটে মিনিয়াপলিসে। পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুদৃশ্য লাইভে প্রচার করেন তাঁরই মেয়েবন্ধু।
ফেসবুক লাইভে এ ছাড়াও যৌন নিপীড়ন, প্রাণীর ওপর অত্যাচার এবং আত্মহত্যার দৃশ্য প্রচার হয়েছে বলে বিভিন্ন সময় খবর বেরিয়েছে।
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি স্বীকার করেছেন যে এসব ঘটনার ব্যাপারে তাঁদের আরো অনেক কিছু করার আছে।